মিনহাজুল আবেদীন : [২] কোভিড-১৯ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ ও ভুয়া ফলাফল দেওয়ার ঘটনায় সাবরিনার সম্পৃক্ততার কথা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরী। এরপর তথ্যপ্রমাণ সাপেক্ষে সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রথম আলো
[৩] ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের সহকারী কমিশনার মো. মাহমুদ খান বলেন, আরিফ আরও জানান, কোভিড নমুনা পরীক্ষার জালিয়াতির ঘটনায় তিনি সাবরিনাসহ ৪জনকে চাকরিচ্যুত করেন। তবে কাউকে চাকরিচ্যুতির কাগজপত্রও দেখাতে পারেননি তিনি। প্রিয়.কম
[৪] নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া ফল দেওয়ার ঘটনায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজির সিইও আরিফসহ ৪জনকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়। আর আজ গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে। ডিবিসি টিভি
[৫] পুলিশ কর্মকর্তা মাহমুদ খান বলেন, চিকিৎসক সাবরিনা বারবারই অস্বীকার করে বলেছেন,তিনি করোনার নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার ফলাফল জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত নন। কিন্তু আরিফুল চৌধুরীসহ অন্যরা জানিয়েছেন, জেকেজির সবকিছু ভালোভাবে জানতেন চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরী।
[৬] এদিকে জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্মচারী হুমায়ুন কবির বলেছেন, আরিফুল চৌধুরীর নির্দেশেই তিনি জেকেজি হেলথ কেয়ারের অফিসে বসে করোনার ভুয়া রিপোর্ট বানাতেন।
[৭] জানা গেছে, কোভিড নমুনা সংগ্রহের কাজটি চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর মাধ্যমে পায় জেকেজি। আগে আরিফুল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ব্যবসা করতেন। ২০১৫ সালে সাবরিনাকে বিয়ে করার পর আরিফুল স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন ব্যবসায় আসেন। ওভাল গ্রুপের আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আছে। তাদের একটি বুটিক হাউসও আছে। কোভিড এই সময়ে তাদের অন্য কাজ নেই। শুধু জেকেজি হেলথ কেয়ারের ওপর নির্ভর করেই সব চলছে। বাংলাট্রিবিউন
[৮] স্বাস্থ্যবিদ মুশতাক হোসেন বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি করেছে, যারা এসবের সঙ্গে জড়িত, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতেই হবে। একমাত্র কঠোর শাস্তিই পারে। এই সময়ে দুর্নীতি কমাতে। সরকারকে এ ব্যাপারে কঠোর হতে হবে। পাশাপাশি সব বিষয়ের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :