এম.ইউছুপ রেজা, চট্টগ্রাম :[২] সর্বাধুনিক ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) যুগে প্রবেশ করেছে চট্টগ্রাম। দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশেই প্রথম ই-পাসপোর্ট চালু হয়েছে। এ পাসপোর্ট চালুর ক্ষেত্রে বিশ্বে ১১৯তম দেশ বাংলাদেশ।
[৩] ঢাকায় ই-পাসপোর্ট দেয়া শুরু হলেও চট্টগ্রামে রোববার (১২ জুলাই) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রামের মনসুরাবাদ অফিস থেকে আবেদনকারীদের ই-পাসপোর্টগুলো বিতরণ করা শুরু হয়। এতে বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, মুনছুরাবাদ চট্টগ্রামের পরিচালক মো. আবু সাঈদসহ দায়িত্বশীল উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ই-পাসপোর্টে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। বর্তমানে এমআরপি ডেটাবেইসে যেসব তথ্য আছে তা ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে।
[৪] এছাড়া চোখের মণির ছবি ও দশ আঙুলের ছাপ থাকবে। বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, মুনছুরাবাদ চট্টগ্রামের পরিচালক মো. আবু সাঈদ জানান, ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু করতে নির্দেশনা মোতাবেক উদ্বোধন শেষে করোনার কারণে কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল। সেই উদ্বোধনের সময় যারা ই-পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন, তারাই ই-পাসপোর্ট পাবেন। তবে করোনা ভাইরাসসহ বিভিন্ন চলমান পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সচেতনতা বেশী প্রয়োজন। ঘরোয়া পরিবেশে মুনছুরাবাদে ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে।
[৫] নতুন এই ই-পাসপোর্ট সিস্টেমে সাধারণের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে। আবু সাঈদ জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ অথবা নতুন করে আবেদনকারীদের দেওয়া হবে ই-পাসপোর্ট। তবে বর্তমানে ৬ মাসের বেশি মেয়াদ থাকা এমআরপি পাসপোর্ট যাদের আসে তাদের ই-পাসপোর্ট দেওয়া হবেনা।
[৬] পাসপোর্ট অফিস ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাথমিকভাবে প্রথম পর্যায়ে ঢাকায় উদ্বোধন করেছিলেন। এরপর এখন ২য় পর্যায়ে চট্টগ্রাম বিভাগেও আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ নিজেদের পাসপোর্ট পেতে ভোগান্তি কমে আসবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :