রাশিদ রিয়াজ : [২] ইরাকে সামরিক সরঞ্জাম বহনকারী একটি মার্কিন সেনা বহরের ওপর ওই হামলার ঘটনা ঘটে। বাগদাদের দক্ষিণে সামোয়া এবং দিওয়ানিয়া এলাকার মধ্যে এ হামলা হয়। সামরিক বহরটি দিওয়ানিয়ার আল-ক্বাদিসিয়াহ ও মুসান্না প্রদেশের সেভিসলিন এলাকার মধ্যে যাতায়াত করছিল। আরটি/প্রেসটিভি
[৩] সামরিক বহরের অন্তত তিনটি গাড়ি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। এসব যানবাহনে আগুণ ধরে যায়। শনিবার স্থানীয় সময় রাত দশটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। কোনো কোনো গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে- রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে এই হামলা চালানো হয়।
[৪] হামলার ভিডিও এবং স্থিরচিত্রে দেখা যায় হামলায় সামরিক বহরে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা এখনো জানা যায়নি। নবগঠিত ইরাকি সশস্ত্র গোষ্ঠী সারাইয়া সাওরাত আল-ইশরিন আল-সানিয়া এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে।
[৫] ইরাকে ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি এবং ইরাকের পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিট বা হাশদ আশ-শাবির সেকেন্ড ইন-কমান্ড আবু মাহিদি আল-মুহান্দিসকে হত্যার পর দেশটির জনগণের ভেতরে ব্যাপক বিক্ষোভ বিরাজ করছে। ইরাক থেকে মার্কিন সেনা বহিষ্কারের দাবিতে দেশটির জাতীয় সংসদের একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব পাস হয়। সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে বর্তমানে ইরাক এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনা চলছে। এর আগে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী হুমকি দিয়ে জানায় মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা না হলে সশস্ত্র লড়াই শুরু হবে।
https://twitter.com/i/status/1282026178350510080