শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১২ জুলাই, ২০২০, ১১:১২ দুপুর
আপডেট : ১২ জুলাই, ২০২০, ১১:১২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়েই হাফিজিয়া মাদ্রাসার কার্যক্রম শুরু

কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই শুরু হলো দেশের সব হাফিজিয়া মাদ্রাসার কার্যক্রম। নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও হাফিজিয়া মাদ্রাসার কার্যক্রম শুরু করার অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরো বিপজ্জনক মাত্রায় নিতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। যদিও বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের (বেফাক) দাবি প্রাথমিকভাবে স্বল্প পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই গত ১৬ মার্চ থেকে সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ১৭ মার্চ দেশের সব কওমি মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয় কওমি মাদ্রাসার সমন্বিত বোর্ড আল হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়্যাহ। দেশের নারী কওমি মাদ্রাসাগুলোও একই ঘোষণার আলোকে বন্ধ রয়েছে।

বেফাকের হিসাব মতে, সারা দেশে ১২ হাজারের বেশি হাফিজিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী রয়েছে লক্ষাধিক। এসব শিক্ষার্থীর অধিকাংশই শিশু ও কিশোর। তারা আবাসিক ব্যবস্থাপনায় পড়ালেখা করে থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের মধ্যে হাফিজিয়া মাদ্রাসার কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে সংক্রমণ ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এ শঙ্কা থেকেই মূলত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও এখনো সেই শঙ্কা থেকেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব বণিক বার্তাকে বলেন, ঈদের পর অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হাফিজিয়া মাদ্রাসা বা হেফজখানা খুললে ভালো হতো। তার পরও কোরবানির ঈদ ঘিরে তাদের একটি জীবিকার বিষয় রয়েছে। পাশাপাশি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইনে করা সম্ভব না হওয়ায় হয়তো সরকার এখন তাদের কার্যক্রম শুরু করার অনুমতি দিয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি বেড়ে যেতে পারে।

নভেল করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকা কোরআন শরীফ মুখস্থকরণ কোর্স (হেফজ বিভাগ) চালু, শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা গ্রহণ ও আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর জবাই—সেবা ও চামড়া সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করতে সরকারের অনুমতি চেয়ে কয়েক দফা বৈঠক করেছে বেফাক। এরই ভিত্তিতে ৮ জুলাই হাফিজিয়া মাদ্রাসার কার্যক্রম শুরু করার অনুমতি দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকার।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাফিজিয়া মাদ্রাসা এবং হেফজখানার শিক্ষা কার্যক্রমে নিরবচ্ছিন্ন অধ্যবসায়ের আবশ্যকতার কথা উল্লেখ করে এর কার্যক্রম চালু করার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে আবেদনের বিষয়টি যথাযথভাবে বিবেচনা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু হাফিজিয়া মাদ্রাসা/হেফজখানার কার্যক্রম ১২ জুলাই থেকে চালু করার অনুমতি প্রদান করা হলো।

বেফাকের সহসভাপতি মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া বণিক বার্তাকে বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা সীমিত পরিসরে হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও হেফজখানার কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়