নিজস্ব প্রতিবেদক: [২] আরও বেশ কিছু পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ওপরে চলে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে পানি বাড়তে শুরু করেছে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, গঙ্গা, মেঘনা নদী এবং এর সঙ্গে সংযুক্ত নদীগুলোর পানিও। পদ্মা, তিস্তা, ধরলা, সুরমা, সোমেশ্বরী নদীর পানিও বিপদসীমার ওপরে উঠবে।
[৩] আগামী ২৪ ঘণ্টায় নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, নাটোর, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর ও নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
[৪] বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া জানান, তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে , যমুনা নদীর ফুলছড়ি পয়েন্টে পানি ৪ সেন্টিমিটার, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ৭১ সেন্টিমিটার, সুনামগঞ্জ পয়েন্ট ৫৪ সেন্টিমিটার, সারিগোয়াইন নদীর সারিঘাট পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার, যাদুকাটা নদীর লরেরগড় পয়েন্টে ১২৫ সেন্টিমিটার এবং গূড় নদীর সিংড়া পয়েন্টের পানি এখন ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
[৫] এদিকে নদীর পরিস্থিতি সম্পর্কে পূর্বাভাস কেন্দ্র জানায়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদনদীগুলোর পানি বাড়ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত এই বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করা হয়। অন্যদিকে পদ্মা নদীর পানি এখন স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় বাড়তে পারে।
[৬] আগামী ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের নুনখাওয়া ও চিলমারী পয়েন্টে, যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ , সারিয়াকান্দি ও কাজিপুর পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
[৭] আগামী ২৪ ঘণ্টায় আপার মেঘনা অববাহিকার সুরমা নদী সিলেট পয়েন্টে, পুরাতন সুরমা নদীর দেরাই পয়েন্টে এবং সোমেশ্বরী নদীর দূর্গাপুর ও কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম,গাইবান্ধা, জামালপুর, নাটোর, সিলেট , সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
[৮] এদিকে ভারী বৃষ্টি আর দমকা হাওয়ার কারণে দেশের চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত এবং নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আপনার মতামত লিখুন :