ডেস্ক রিপোর্ট : [২] করোনা পরীক্ষা নিয়ে বেসরকারি রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়ম ও প্রতারণার ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের অন্যতম সহযোগী তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীর পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
শুক্রবার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য শিবলীকে আদালতে হাজির করে তার সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর গাজী। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল নোমান ভূইয়া তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
[৩] এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর নাখালপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আরও সাতজনকে বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। উত্তরা পশ্চিম থানায় তাদের বিরুদ্ধে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই থানার পরিদর্শক আলমগীর গাজী।
[৪] শুনানি শেষ ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী প্রত্যেকের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তারা হলেন-রিজেন্ট হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আহসান হাবীব (১), হেলথ টেকনিশিয়ান আহসান হাবীব (২), হেলথ টেকনোলজিস্ট হাতিম আলী, রিজেন্ট গ্রুপের প্রকল্প প্রশাসক মো. রাকিবুল ইসলাম, রিজেন্ট গ্রুপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা অমিত বণিক, রিজেন্ট গ্রুপের গাড়িচালক আবদুস সালাম ও হাসপাতালের কর্মী আবদুর রশিদ খান জুয়েল।
[৫] অন্যদিকে রিজেন্ট হাসপাতালের অভ্যর্থনাকারী কামরুল ইসলাম নামে এক আসামি শিশু হওয়ায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তাকে গাজীপুরের কিশোর সংশোধনীতে পাঠানোর আদেশ দেন।
করোনার ভুয়া সনদ দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে গত মঙ্গলবার রাতে সাহেদসহ রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের ১৭ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেছে র্যাব। এ নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা হলো।
[৬] মঙ্গলবারের মামলায় র্যাবের অভিযানে আটক সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়া রিজেন্ট গ্রুপের কার্যালয় এবং রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরের রিজেন্ট হাসপাতালের শাখা দুটি সিলগালা করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদের বিরুদ্ধে ৬ হাজার মানুষকে কভিড-১৯ টেস্ট না করেই ভুয়া সনদ দেওয়া, প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে প্রভাব খাটানোর, এমএলএম (মাল্টি লেভেল মার্কেটিং) ব্যবসার, ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করার, চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অপকর্মের তথ্য পাওয়া গেছে।দেশ রূপান্তর, প্রিয়ডটকম
আপনার মতামত লিখুন :