বাশার নূরু: [২] কোভিড মহামারির মধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ১৪টি জেলা। পানি কমে গেলেও রয়ে গেছে ভাঙনের ক্ষত। কিন্তু বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, এ দফায় কমলেও উজানে ভারী বৃষ্টির কারণে চলতি সপ্তাহেই আসছে আরো বড় বন্যা।
[৩] বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া বলেন, আবারো দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে বড় বন্যার আশংকা রয়েছে। এই বন্যাটা প্রায় চতুর্থ সপ্তাহ পর্যন্ত গড়াতে পারে।
[৪] জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বন্যার হার ও শক্তি বাড়ছে জানিয়ে, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার পাশাপাশি কোভিডকে গুরুত্ব দিয়ে আগাম প্রস্তুতি নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
[৫] দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, পানি দুই সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে পূর্বাভাস পেয়েই আমরা পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি। শুক্রবার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশঙ্কার কথা জানান।
[৬] তিনি বলেন, বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র থেকে যে সতর্কীকরণ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ১১ জুলাই থেকে পানি বাড়বে, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, পদ্মা ও মেঘনা নদীর পানি বাড়বে।
[৭] বন্যায় ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলো হচ্ছে- কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, রাজবাড়ী, শরিয়তপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, চাঁদপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর ও নওগাঁ। এই ২৩ জেলায় ইতোমধ্যেই আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :