শরীফ শাওন : [২] অর্থনীতিবিদ আনু মোহাম্মদ বলেন, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের খরচ কমাতে সুফলের কিছু নেই, এটা মন্দার লক্ষণ। সামগ্রীকভাবে দেখলে এটা কোন স্বাভাবিক পরিস্থিতি নয়, ব্যায় কমাটাও স্বাভাবিক না।
[৩] তিনি বলেন, যাতায়াত কমে যাওয়ার মধ্য দিয়ে কাজকর্ম ও উৎপাদনশীলতা বন্ধ হচ্ছে। কেনাকাটা কমে গেলে আরেকজনের বিক্রি কমে যায়। বিনিয়োগ কমে যায়। সামগ্রিক মন্দার সৃষ্টি হয়। টিউশনি না থাকায় অনেক ছাত্র ছাত্রীর আয় বন্ধ হয়েছে। বাসা ভাড়া দিতে না পেরে অনেকে গ্রামে চলে গেছেন। যারা বাসা ভাড়ার অর্থের উপর নির্ভরশীল তাদের বাসা খালি পড়ে আছে। যাতায়াত কমে যাওয়ায় পরিবহন খাতের শ্রমিকদের জীবিকা বন্ধ হয়েছে। ছাঁটাইয়ের ফলে গৃহকর্মীরা অসহায় হয়ে পড়েছে।
[৪] বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে কর্মসংস্থান ও সরকারের সহযোগিতা না পেলে সকলেই দুর্ভোগের শিকার হবে। যা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।
[৫] তিনি বলেন, বাজারে চাহিদা না থাকলে ছোট বা বড় ব্যবসায়ীরাও উৎপাদন করে লাভবান হতে পারবে না। ব্যবসায় বিনোয়োগে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। মধ্য আয়ের দেশ থেকে উপরের আয়ের দেশ তৈরি কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।
[৬] তিনি আরও বলেন, মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্তদের অধিকাংশই চাকরি বা ক্ষুদ্র ব্যবসার উপর নির্ভরশীল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা এখন কর্মহীন। দ্রুততর তাদের জন্য আয়ের উৎস সৃষ্টি করতে হবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তদের জন্য সরকারের সাবসিডি দ্রুত সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন।