শিরোনাম
◈ নির্বাচন-গণভোট একই দিনে: ইসিকে এমপাওয়ার করতে আসছে নতুন আইন ◈ বাণিজ্য, শিক্ষা, সংযোগে নতুন উদ্যোগ—ভুটান প্রধানমন্ত্রীর সফরে উভয় দেশের সন্তোষ ◈ স্থলপথে গত বছরে ভারত ভ্রমণ ১৮ লাখ ৫৯ হাজার; রাজস্ব আয় প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ◈ বাংলাদেশে কম্পনের পর কম্পন—কেন হচ্ছে, কী বলছে বিশেষজ্ঞরা ◈ চরম নাটকীয়তার পর পাকিস্তানের কাছে সুপার ওভারে হে‌রে গে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশকে কর্মী নিয়োগ নিয়ে সুখবর দিল সৌদি আরব ◈ খালেদা জিয়ার হার্ট ও ফুসফুসে ইনফেকশন হয়েছে, আগামী ১২ ঘন্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ: ডা. সিদ্দিকী (ভিডিও) ◈ যে কারণে ক্ষমা চাইলেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল! ◈ ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ শিলান্যাস ঘোষণা নিয়ে চরম রাজনৈতিক উত্তেজনা ◈ বিজয় দিবসকে সামনে রেখে তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে

প্রকাশিত : ১০ জুলাই, ২০২০, ০১:৫২ রাত
আপডেট : ১০ জুলাই, ২০২০, ০১:৫২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] করোনায় মৃত্যু, বলা হলো এই মৃত্যু নাকি পাপের ফসল, খাটিয়া জোটেনি, বাঁশও কাটতে দেয়নি গ্রামবাসী

জেরিন আহমেদ : [২] ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মধ্যপাড়া গ্রামে এ অমানবিক ঘটনা ঘটে।

[৩] স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রফি উদ্দিনের ছেলে গোলাম সরোয়ার মোর্শেদ (৫২) দুই সন্তানের জনক। বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন তিনি। দুই বছর আগে প্যারালাইজড হন মোর্শেদ। কয়েক মাস আগে সুস্থ হন। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে ২৯ জুন শৈলকুপায় আসেন তিনি। পরে পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। রিপোর্ট পজিটিভ আসায় ১ জুলাই ভর্তি হন কুষ্টিয়া সরকারি হাসপাতালে। পরে অবস্থার অবনতি হলে পরদিন ভর্তি হন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

[৪] শনিবার (০৪ জুলাই) দুপুরে ওই হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ওই দিন রাতে তার মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সযোগে শৈলকুপার বাড়িতে আনা হয়। মরদেহ বাড়িতে এনে দাফন কাফনে ভোগান্তিতে পড়েন স্বজনরা। গ্রামবাসীর বাধায় মেলেনি খাটিয়া। এমনকি দাফনের জন্য বাঁশ-খুঁটি কাটতেও বাধা দেয় স্থানীয়রা। গ্রামবাসীর ভাষ্য, এটি মৃতের পাপের ফল।

[৫] এ অবস্থায় গভীর রাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার আব্দুর রাজ্জাকের তত্ত্বাবধানে কমিটির সদস্যদের মাধ্যমে অ্যাম্বুলেন্সে মৃতের জানাজা পড়ানো হয়। পরে দাফন-কাফন সম্পন্ন করা হয়।

[৬] মৃতের মেয়ে সুমাইয়া বলেন, ‘গ্রামবাসী বলল- এটি আব্বুর পাপের ফসল। আব্বু নাকি কোনো একটা পাপ করেছেন। যার জন্য করোনায় মরে পাপের শাস্তি পেয়েছেন। এজন্য জানাজা আর দাফন-কাফনে অংশ নেয়নি গ্রামবাসী। এমনকি কবরের জন্য বাঁশ-খুঁটিও কাটতে দেয়নি তারা।’

[৭] সরোয়ার মোর্শেদের স্ত্রী ফারজানা খাতুন বলেন, করোনাভাইরাস তো বৈশ্বিক মহামারি। মৃতদের জানাজায় খাটিয়া দেবে না, কেউ আসবে না, কবর খুঁড়তে দেবে না, এ কোন কুসংস্কার আর ভীতিকর সমাজে বসবাস করছি আমরা। প্রতিবেশীর এমন ব্যবহারে মন ভেঙে গেছে আমাদের। সূত্র: জাগো নিউজ , বিডি নিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়