সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : [২] গত মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় তিনি সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তিনি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন।
[৩] বৃহস্পতিবার বাদ ফজর পাক রওজা শরীফ চত্বরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয় এবং পরে রওজার পাশে তাকে সমাহিত করা হয়। জানাজায় বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
[৪] আনছারউদ্দীন আহমদ ১৯৩৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি নলতা শরীফের অদূরে পাইকাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম চৌধুরী মো. এজাহার হোসেন। মায়ের নাম জোহরাতুন্নেছা। শৈশবেই তিনি ব্যক্তিগত প্রাপ্তি-প্রত্যাশার সকল মোহ ত্যাগ করে হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা’র সান্নিধ্যে আসেন। খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা’র আদর্শকে বাস্তবায়নের জন্য জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে উৎসর্গ করেছেন।
[৫] ১৯৬৫ সালে ইন্তেকালের আগে হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা আনছারউদ্দীন আহমদকে দরবার শরীফের খাদেম সাহেব নিযুক্ত করেন। অসামান্য সাংগঠনিক দক্ষতায় তিনি নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনকে অনন্য উচ্চতায় স্থাপন করেছেন। তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য এবং খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। কার্যত তিনি ছিলেন সারা বিশে^র আহ্ছানিয়া মিশনের সর্বজন শ্রদ্ধেয় অভিভাবক।
[৬] মৌলভী আনছারউদ্দীন আহমদ নলতার আহ্্ছানিয়া মিশন চক্ষু ও জেনারেল হাসপাতাল, খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা জুনিয়র হাইস্কুল, নলতা আহ্ছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজ, নলতা দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা ও নলতা হাফিজিয়া মাদ্রাসাসহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা।
[৭] তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামজুজ্জামান খান, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ আসকারীসহ দেশ বিদেশের আহ্ছানিয়া মিশনসমুহের অনুরাগী ও কর্মকর্তাবৃন্দ। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :