মো.ইউসুফ মিয়া, রাজবাড়ী প্রতিনিধি : [২] জেলায় দর্শনার্থীদের ভ্রমণের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় একটি স্থান হচ্ছে ‘গোদার বাজার এলাকার পদ্মা নদীর পাড়’। রাজবাড়ী শহরের প্রাণকেন্ত্র থেকে খুব কাছে অবস্থিত হওয়ার কারণে খুব সহজেই শহরের যেকোন জায়গা থেকে যাওয়া যায় সেখানে।
[৩] শহরের ব্যস্ত কোলাহল থেকে বাঁচতে একটুখানি সতেজ বাতাসের জন্য ছুটির দিনে অনেক দর্র্শনার্থীই ভীড় জমান গোদার বাজার পদ্মার পাড়ে। শুধুমাত্র ছুটির দিনেই নয়-প্রতিদিনই সৌন্দর্য পিপাসু অনেক মানুষ ভীড় জমান ওই এলাকায়।
[৪] রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন এসব দর্শনার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে তাদের বসার জন্য নদীর পাড়ে কিছু অবকাঠামো নির্মাণের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু গত বছরের নদী ভাঙ্গনের সময় সেগুলোর অধিকাংশই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কিছু স্থাপনা বেঁচে গেলেও অযত্ন-অবহেলায় সেগুলোরও এখন বেহাল দশা।
[৫] এছাড়া রাজবাড়ীবাসী অনেকদিন যাবৎ সেখানে একটি পার্ক নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসলেও এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ একটি পার্কের অভাবে দর্র্শনার্থীরা পরিপূর্ণভাবে পদ্মা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারছেন না।
[৬] এছাড়া নদী পাড়ে নেই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। যার জন্য নিরাপত্তার অভাবে দর্র্শনার্থীরা রাতের পদ্মার সৌন্দর্যও উপভোগ করতে পারেন না। এছাড়াও নেই দর্শনার্থীদের জন্য আধুনিক কোন ওয়াশরুমের ব্যবস্থা।
[৭] এসব প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণসহ গোদার বাজার পদ্মার পাড়ে যদি একটি পার্ক নির্মাণ করা যায় তাহলে সহজেই তা জেলা সদরের বাইরে প্রতিটি উপজেলাসহ জেলার বাইরের পর্যটকদেরও আকর্ষণ করবে। যা রাজবাড়ীর মতো একটি পশ্চাৎপদ জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে। কিছু কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে, যা স্থানীয় অনেক তরুণকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি দিবে।
[৮] গোদার বাজারের জনপ্রিয়তা রাজবাড়ী জেলা ছাড়িয়ে দেশের অন্যান্য জেলাগুলোতেও পৌঁছে গেছে। কিন্তু নদীর পাড়ে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ একটি পার্কের অভাবে জেলার বাইরের অনেকের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পরিবার ও বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ঘুরতে আসার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। যা রাজবাড়ী জেলার জন্য অনেক বড় ক্ষতি।
প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে অচিরেই গোদার বাজার পদ্মার পাড়কে সারা দেশে পর্যটন শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে পারে। সম্পাদনা:জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :