আশরাফ আহমেদ : [২] দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে নারী ও শিশু শ্রমিকরা স্বহস্থে বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী তৈরি করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী ও জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রেখে ছিলো কিন্তু ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে দরিদ্র হাজারো নারী ও শিশুরা শ্রমিকরা কর্মহারা হয়ে পড়েছেন। ফলে, মফস্বলে দারিদ্রতার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
[৩] একদিকে, পারিবারিকভাবে আর্থিক সংকট ও হস্তজাত দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন না করতে পারায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। তাই তাদের জীবন-জীবিকা পরিচালনা ও এই শিল্প ধরে রাখার জন্য সরকারের নিকট প্রণোদনার জোরালো দাবি জানিয়েছেন তারা।
[৪] দরিদ্র পরিবারের নারী ও শিশুরা মিলে সুনিপুণ হস্তে মাটির তৈরি বিভিন্ন হাড়ি,পাতিল, ফুলদানি,পুতুল’সহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী, পাটের তৈরি ব্যাগ, ছিক্কা, রশি, কাঢ়া, শাড়িতে নকশা ও চুমকি ও পাথর বসানো, বুটিকের কাজ, কাগজ দিয়ে রকমারি জিনিসপত্র তৈরি, বাঁশের তৈরি কুলা, গোলা, রকমারী জিনিসপত্র প্রভৃতি তৈরি করত।
[৫] নারী ও শিশুরা সংসারের কাজের পাশাপাশি বাড়তি উপার্জনের জন্য হস্তজাত দ্রব্য উৎপাদনে নিয়োজিত থাকতো। তবে বর্তমানে করোনা প্রভাবে উপজেলার হাট-বাজারে লোকের সমাগম কম এবং হস্তজাত দ্রব্যসামগ্রীর চাহিদা দিনদিন হ্রাস পাওয়ায় ঔসব দ্রব্য উৎপাদনে আগ্রহ হারাচ্ছেন কারিগররা। ফলে পরিবারে আয়-উপার্জন কমে যাওয়ায় চরম কষ্টে দিনাতিপাত করছেন তারা।
[৬] সরেজমিনে উপজেলার শাহেদল, কুড়িমারা, দ্বীপেশ্বর, রহিমপুর, রামপুর আশুতিয়াসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, ওসব এলাকায় হস্তজাত দ্রব্য উৎপাদনে নিয়োজিত বহু নারী ও শিশু শ্রমিক বেকার। তারা এখন অলস ও নিষ্কর্মা হয়ে পড়েছেন।
[৭] দ্বীপেশ্বর গ্রামের শাড়ি কর্মী রহিমা বলেন, শাড়ির কাজ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালোভাবে কাটছিল দিন কিন্তু করোনার কারনে শাড়ির কাজ করা বন্ধ থাকায় দারুণভাবে আর্থিক সংকটে পড়েছি।
[৮] কুড়িমারা গ্রামের বুটিকের কারিগর মিনা জানান, করোনার কারনে বুটিকের কাজের চাহিদা কমে গেছে। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি।
আশুতিয়া গ্রামের বাঁশের আসবাবপত্র তৈরি কারিগর রাহেলা জানান, বাজারে বাঁশের তৈরি আসবাবপত্রের চাহিদা এখন আর তেমন নেই। ফলে সংসার চালাতে পারছি না। সম্পাদনা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :