শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৯ জুলাই, ২০২০, ০৬:২২ সকাল
আপডেট : ০৯ জুলাই, ২০২০, ০৬:২২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] গণমাধ্যমে আর কথা বলবেন না স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক

ডেস্ক রিপোর্ট : [২] করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমে আর কথা না বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত তিনি কথা বলবেন না বলেও জানা গেছে।

গত ৯ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা সংক্রান্ত ১০ কমিটির পুনর্গঠন করে। সেখানে আরও নয়টি কমিটির পাশাপাশি গঠন করা হয় তথ্য ব্যবস্থাপনা, গণযোগাযোগ ও কমিউটিন মবিলাইজেশন বিষয়ক ১৩ সদস্যের কমিটি। সেখানে সভাপতি হিসেবে রয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) লাইন ডিরেক্টর ডা. হাবিবুর রহমান ও সদস্য সচিব হিসেবে আছেন কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আখতার।

[৩] তবে করোনার এই সময়ে নানা বিষয়ে তাদেরকে প্রশ্ন করা হলেও তাদের কাছ থেকে সঠিক তথ্য পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এই কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রকৃত চিত্রটাতো আমাদের পক্ষে সবসময় বলা সম্ভব হয় না।

[৪] প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে উপস্থিত হয়ে বলেন, ‘দেশের করোনাভাইরাস আগামী এক-দুই বা তিন বছরে যাবে না। এটি দুই থেকে তিন বছর বা তার চেয়েও বেশি স্থায়ী হবে। যদিও সংক্রমণের মাত্রা উচ্চহারে নাও থাকতে পারে।’ আর সেজন্য সরকারের নেওয়া পরিকল্পনা সম্পর্কেও জানান তিনি।

তবে তার বক্তেব্যে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। দায়িত্বশীল পদে থেকে এ ধরনের মন্তব্য জনমনে ভীতির সঞ্চার করবে বলে মত দেন সংশ্লিষ্টরা।

[৫] সে সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনাভাইরাসের আয়ুষ্কাল নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অদূরদর্শী ও কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য মানুষকে হতাশ করেছে। স্পর্শকাতর এ সময় দায়িত্বশীল পদে থেকে কারও দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য রাখা মোটেও সমীচীন নয়।’

ওবায়দুল কাদের এ সময় এ ধরনের বক্তব্য থেকে বিরত থাকারও পরামর্শ দেন। ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের কয়েকঘণ্টার মধ্যেই দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দেন অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। তিন জানান, বক্তব্যের স্ক্রিপ্টটি দ্রুততার সঙ্গে তৈরি করায় এবং ভালো করে পরীক্ষা না করায় এমনটা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

[৬] মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যায় ভুলের দায় চাপান বক্তব্য লেখকদের ওপর। তিনি বলেন, ‘বক্তব্যের স্ক্রিপ্টটি দ্রুততার সঙ্গে তৈরি করতে বুলেটিনের সময় হয়ে যায় এবং ভালো করে পরীক্ষা করারও সুযোগ হয়নি। সেই স্ক্রিপ্টই বুলেটিনে পাঠ করা হয়। তবে পরে বুঝতে পারি এ বক্তব্যে অস্পষ্টতা তৈরি হতে পারে।’যুগান্তর, প্রিয়ডটকম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়