শিরোনাম
◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ০৯ জুলাই, ২০২০, ০২:৫৪ রাত
আপডেট : ০৯ জুলাই, ২০২০, ০২:৫৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] নারায়ণগঞ্জে বাবার ছুরিকাঘাতে ছেলের মৃত্যুর পর মারা গেলেন মা

মনজুর অনিক: [২] নারায়ণগঞ্জজে মাকে বাচাঁতে গিয়ে ছেলে সোহাগের মৃত্যুর পর মারা গেলেন মা মনোয়রা বেগম।

[৩] বুধবার বিকাল ৫টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিসকৎসাধীন অবস্থা তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্ল থানার ওসি আসলাম হোসেন। বুধবার ভোর রাতে ফতুল্লার পশ্চিম ভোলাইল শাহ আলমের ভাড়া ভাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।

[৪] প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, ময়মনসিংহের ত্রিশালের রিকশাচালক হারেস মিয়া পরিবার নিয়ে ভোলাইল শাহ আলমের ভাড়াভাড়িতে থাকেন। তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম গার্মেন্টে চাকরি করেন। এছাড়া ছেলে সোহাগ স্থানীয় একটি গার্মেন্টে চাকরি করেন আর মেয়ে বিথী আক্তার (১২) ভোলাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। হারেস তার স্ত্রীকে পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ করতেন।

[৫] এ নিয়ে প্রায় সময় তাদের সংসারে ঝগড়া হতো। মঙ্গলবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে  হারেস মিয়ার হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে তার স্ত্রীকে আঘাত করেন। পরে মাকে বাঁচাতে যায় ছেলে সোহাগ। তখন হারেস তার ছেলে সোহাগকেও ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে হারেস নিজের পেটে নিজেই ছুরিকাঘাত করেন।

[৬] এ সময়  মেয়ে বিথীর চিৎকারে লোকজন এসে সোহাগসহ হারেস ও মনোয়ারা বেগমকে  হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন এবং স্বামী-স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।  হারেজের উপুর্যপরী ছুরিকাঘাতে মা ও ছেলে মারা যায়। হারেজ বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থাও আশংকাজনক। সেখানে তাকে রাখা হয়েছে পুলিশ প্রহরায়।

[৭] বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তারা চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।সেখানে পুলিশ প্রহরা রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান ও ওসি আসলাম হোসেন ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়