ইয়াসিন আরাফাত : [২] গান্ধী পরিবারের সঙ্গে যুক্ত তিনটি ট্রাস্টের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগের বিষয়ে এবার বিস্তারিত তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র টুইট করে জানান , রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন, রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট, এবং ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের বিরুদ্ধে উঠা আয়কর ও অনুদানের বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে তদন্তের জন্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করেছে।
[৩] ভারতের কেন্দীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নেতৃত্ব দেয়ার জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের একজন স্পেশ্যাল ডিরেক্টরকে এই কমিটির প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হবে।
[৪] স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, গান্ধী পরিবার পরিচালিত ট্রাস্টগুলো কোনওভাবে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ), আয়কর আইন এবং বিদেশি অবদান বিষয়ক আইনগুলো লঙ্ঘন করছে কিনা সেই বিষয়গুলোই তদন্তে খতিয়ে দেখা হবে।
[৬] গত মাসেই, ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের অভিযোগ করেছ, দেশের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ ১৯৯১ সালে অর্থমন্ত্রী হিসাবে নিজের বাজেট বক্তৃতায় মনমোহন সিং রাজীব গান্ধি ফাউন্ডেশনের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন। পাশাপাশি বিজেপির অভিযোগ, ভারতের চিনা দূতাবাস থেকে অনুদান পেয়েছে কংগ্রেস পরিচিলিত রাজীব গান্ধি ফাউন্ডেশন। প্রথম ইউপিএ আমলে অর্থাৎ ২০০৫-০৬ সালে এই লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।
[৭] উল্লেখ্য, রাজীব গান্ধি ফাউন্ডেশনের প্রধান কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি এবং ওই বোর্ডের সদস্যরা হলেন রাহুল গান্ধি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ভঢরা, পি চিদাম্বরম এবং মনমোহন সিং।
আপনার মতামত লিখুন :