মনিরুল ইসলাম : [২] প্রধানমন্ত্রী ও সংসদনেতা বলেছেন, '৭৫ এর ১৫ আগষ্টের পর বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়েছিলো। এমন কি ওই সময় একশ্রেণির সুশীল ভাষা আন্দোলনেও যে বঙ্গবন্ধুর অবদান রয়েছে বলা হতো না। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকেও বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়। তিনি বলেন, সত্য কখনও মুছা যায় না। তা যে কোনভাবেই সামনে উঠে আসে।
[৩] বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর তারকা চিহ্নিত প্রশ্নোত্তর পর্বে ঢাকার সংসদ সদস্য একেএম রহমতউল্লাহর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর '৭১ সালের লেখা কোন ডাইরী পাইনি। তিনি পাকিস্তানের কারাগারের বন্দি থাকা অবস্থায় যে কষ্ট ও নির্যাতন সইয়েছেন আমাদের কোনদিন বলেননি। আমি অনেক সময় আমার ছোট বোন রেহানাকে বলতাম তুই আব্বাকে জিঙ্গাসা করিস। রেহানা বলেছে আব্বা মুখ ফুটে কোন কথা বলেননি। শুধু বলেছেন এসব শুনলে সহ্য করতে পারবা না।
[৪] প্রধানমন্ত্রী কি ভাবে 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী ' 'কারাগারের রোজনামতা' ও ' আমার দেখা নয়াচীন' বইগুলো বের করলেন তার কাহিনী তুলে ধরেন।
[৫] তিনি জানান, 'স্মৃৃতি কথা' নামে একটি বই হয়ে আছে। শিগগিরই ছাপাতে দিবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একজন মানুষ এতকষ্ট জাতির জন্য করতে পারে ভাবাও যায়নি। তিনি মন্ত্রীত্ব ছেড়েছেন। যদি চাইতেন প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। দেশটাকে স্বাধীন করতে হবে বলে সব ত্যাগ করেছেন। তিনি বলেন, সেই মানুষটাকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চাওয়া হয়েছে। তবে ইতিহাস কেউ মুছে ফেলতে পারে না। কোন না কোন ভাবে তা সামনে আসবেই। যা আজ এসেছে।
আপনার মতামত লিখুন :