সুজন কৈরী : [২] রিজেন্ট হাসপাতালে অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় রিজেন্ট গ্রæপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলাও হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
[৩] বুধবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় র্যাব সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের একথা বলেন বাহিনীর মিডিয়া এন্ড লিগ্যাল উইং এর পরিচালক ও গোয়েন্দা প্রধান লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম।
[৪] তিনি জানান, রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদকে খোঁজা হচ্ছে। গ্রেপ্তার ৮ জনের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
[৫] রোগী থাকায় মানবিক কারণে মিরপুর শাখা বন্ধ করা হয়নি জানিয়ে সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, সাহেদকে গ্রেপ্তারে একাধিক স্থানে অভিযান চালালেও এখন পর্যন্ত তাকে পাওয়া যায়নি। তবে শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সাহেদ যাতে কোনো অবস্থায় দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, মঙ্গলবার রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার নামে প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়েছে।
[৬] র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম সাহেদ করিম উল্লেখ থাকলেও পরিচয় দিতেন মো. সাহেদ নামে। বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অপকর্ম করে থানা পুলিশ এবং জেলও খেটেছেন তিনি। এভাবেই টাকার পাহাড়ও গড়েছেন তিনি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মানুষের সঙ্গে ছবি তুলে তার অপকর্মকে ঢাকার চেষ্টা এবং আরও অপকর্ম করার সুযোগ খুঁজতেন। তিনি
[৭] রিজেন্ট হাসপাতালে প্রায় সাড়ে চার হাজার করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্টের বিষয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, একজন কম্পিউটার অপারেটর বসে বসে সাড়ে চার হাজার রিপোর্ট তৈরি করেছেন। মনগড়া রিপোর্ট পজিটিভ-নেগেটিভ দিয়েছেন। তাছাড়া মোট ১০ হাজার রোগীর করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করে রিজেন্ট হাসপাতাল। মাত্র ৪ হাজার ২৬৪টি নমুনা সরকারিভাবে টেস্ট করে রিপোর্ট দেয়। এক্ষেত্রে ভয়াবহ প্রতারণার কৌশল গ্রহণ করে রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কারও জ্বর থাকলে তাকে পজিটিভ আর জ্বর না থাকলে নেগেটিভ রিপোর্ট দেয়।
[৮] অভিযানের পর সব জানাজানি হলে রিজেন্ট থেকে পরীক্ষা করানো অনেকেই র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, তাদের রিপোর্ট ঠিক নাকি ভুল সেটি জানার জন্য। এছাড়া হাসপাতালটির অপারেশন থিয়েটারের ভেতর চলতো রান্নাবান্নার কাজ। ফ্রিজ ভর্তি ছিল মাছ।