মনিরুজ্জামামান সুমন : [২] সাধারণ মানুষের উদাসীনতার কারণে চুয়াডাঙ্গায় দিন দিন বাড়ছে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা ও মাস্ক না পড়ার প্রবণতা কম থাকায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার শহর ও গ্রামাঞ্চলে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় নতুন করে এক চিকিৎসকসহ ১১ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন।
[৩] বুধবার (৮ জুলাই) সকালে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে ৪১ জনের নমুনার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ১১ জন কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলার ৪, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৫ ও দামুড়হুদা উপজেলার ২ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে দামুড়হুদা
[৪] তিনি জানান, উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত একজন স্বাস্থ্য সহকারীর মা ও তার ৬ বছর বয়সের মেয়ে, ঢাকায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পৌর এলাকার মালোপাড়ার আরা হালদার স্ত্রী ও বোন জামাই, কোটালি কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ্ প্রোভাইডার এক নারী সদস্য, শহরের সিনিমো হল পাড়ার ঢাকা ফেরত ৫৫ বছর বয়সের এক ব্যক্তি, আলমডাঙ্গা উপজেলার রাধিকাগঞ্জ গ্রামের স্বামী ও স্ত্রী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছিলো রোববার। তাদের সংস্পর্শে এসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন মেয়ে ও নাতি ছেলে, আলমডাঙ্গা শহরের মিয়াপাড়ার ৩৭ বছর বয়সের একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, হারদি গ্রামের ৬০ বছর বয়সের এবং গড়চাপড়া গ্রামের ৬৫ বছর বয়সের দুই নারী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ৩ জন প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রয়েছেন ও বাকীরা নিজ বাড়িতে আছেন। এছাড়া নতুন আক্রান্তসহ সদর হাসপাতাল আইসোলেশনে ও হোম আইসোলেশনে ৯৫ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
[৫] উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গায় প্রথম কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হন ইতালি ফেরত এক যুবক। তার বাড়ি আলমডাঙ্গায়।জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৯ জন নারী-পুরুষ। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৬৯ জন ও মারা গেছেন ৩ জন। সম্পাদনা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :