রাশিদ রিয়াজ : [২] কংগ্রেস ও জাতিসংঘকে ট্রাম্প প্রশাসন এমন এক সময় ‘হু’ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক প্রত্যাহারের কথা জানালো যখন একাধিক কর্মকর্তা সিএনএন’কে জানিয়েছেন গত এক সপ্তাহ জুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে ফের কোভিড ভাইরাস বিস্তার করছে।
‘হু’ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহার কার্যকর হবে আগামী বছরের ৬ জুলাই থেকে। সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার নির্বাচিত হলে শাসনভার নেয়ার প্রথম দিন ট্রাম্প প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে আইনজীবী, চিকিৎসা সমিতি, এ্যাডভোকেসি সংস্থা ও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলো।
[৩] সিনেট ফরেন রিলেশন কমিটির শীর্ষ ডেমোক্রেট সিনেটর রবার্ট মেনেন্দেজ টুইটে বলেছেন ট্রাম্প প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড বিস্তারের মাঝখানে নেয়া হয়েছে যা মার্কিনীদের জীবন বা স্বার্থ রক্ষা করবে না বরং এটি তাদের অসুস্থ ও এক বিশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্যে ফেলে দেবে। এ সিদ্ধান্ত সুবিচারের পরিপন্থী।
[৪] জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন প্রত্যাহারের সমস্ত শর্ত পূরণ করা হয়েছে কি না তা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে। এধরনের শর্তগুলোর মধ্যে এক বছরের নোটিশ দেয়া, মূল্যায়নকৃত আর্থিক বাধ্যবাধকতার অর্থ পুরোপুরি পরিশোধের বিষয় রয়েছে।
[৫] ডেমোক্রেট হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ট্রাম্প প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তকে ‘সত্যিকারের বোকামির কাজ’ বলে অভিহিত করে বলেন, যদি ‘হু’র সংস্কারের জন্যে নির্দিষ্ট প্রস্তাবনা থাকে তবে তা কংগ্রেসের কাছে জমা দেয়া উচিত যাতে তা নিয়ে আমরা একত্রে কাজ করতে পারি। সিনেট স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শ্রম ও পেনশন কমিটির চেয়ারম্যান রিপাবলিকান নেতা সেন লামার আলেকজান্ডার বলেছেন তিনি ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের সাথে একমত নন।
[৬] গত এপ্রিলের মাঝামাঝি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘হু’ থেকে সরে আসার কথা বলেন এবং জাতিসংঘকে দেয়া তহবিল বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেন।
আপনার মতামত লিখুন :