শিরোনাম
◈ বুটেক্সকে তথ্য প্রযুক্তি ও বিশ্ব পরিস্থিতির বিবেচনায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির ◈ স্বর্ণের দাম কমলো ◈ হলমার্ক কেলেঙ্কারির রায় ঘোষণার সময় পালিয়ে গেলেন জামাল উদ্দিন সরকার ◈ ২৯ কৃষি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ বাস্তব বিবর্জিত: দোকান মালিক সমিতি ◈ তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদিকে বাড়ি ছাড়তে হবে: হাইকোর্ট  ◈ সরকারের হাত থেকে রক্ষা পেতে জনগণকেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: বিএনপি ◈ সরকারের ফাঁদে পা দেইনি, দল ছাড়িনি, ভোটেও যাইনি: মেজর হাফিজ ◈ আমার একটাই চাওয়া স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ জিম্মি জাহাজ উদ্ধারে অভিযান নয়, আলোচনা চায় মালিকপক্ষ ◈ বিএনপিকে আমরা কেন ভাঙতে যাবো, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের 

প্রকাশিত : ০৮ জুলাই, ২০২০, ১০:০৬ দুপুর
আপডেট : ০৮ জুলাই, ২০২০, ১০:০৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০তম বর্ষে পদার্পণ

আসাদুজ্জামান বাবুল : [২] গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টিও সেই আওতাভুক্ত।বিশ্ববিদ্যালয়টি এখন দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা. জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর দেশের অন্যান্য জেলা/উপজেলার মতো এ এলাকার ভাগ্যহত মানুষের জন্য কাজ শুর করেন।

[৩] প্রধানমন্ত্রীর এই জনকল্যাণমুখী কার্যক্রমকে যারা কঠিন শ্রম দিয়ে বাস্তবায়ন করেছেন তাদের একজনের মধ্যে সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন।তার একান্ত নিষ্ঠার কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি ভর্তির আসন সংখ্যার দিক থেকে বর্তমানে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে মাত্র পাঁচটি বিভাগে ১৬০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে একাডেমিক কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হলেও মাত্র ৫ বছরের মধ্যে ২৩টি বিভাগে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দাড়ায় ৬,০০১ জন।বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত, যেখানে ৩৪ টি বিভাগ, ৭ টি অনুষদ ও ৩ টি ইন্সটিটিউট রয়েছে। চারিপাশ সবুজ গাছপালায় ঘেরা শিক্ষাঙ্গনের ক্যাম্পাসটিতে ঢুকলে প্রাণ ভরে যায় নৈসর্গিক পরিবেশ দেখলেই। ধূমপান ও সেশনজটমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলবৈশিষ্ট্য।

[৪] ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের একান্ত প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা-সংস্কৃতি সর্বোপরি মনোবিকাশে এখন দক্ষিণ বাংলার অহংকার।সেশনজটবিহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪বছর পূর্ণ হওয়ার একদিন আগেই শিক্ষার্থীরা হাতে পেয়ে যায় তাদের সার্টিফিকেট।সিসি আওতাভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আধুনিক ল্যাব স্থাপন, ডিজিটাল লাইব্রেরি, পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থা, মাদক ও র্যা গিং মুক্ত ক্যাম্পাস, বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি, সেশনজট মুক্ত ক্যাম্পাস, দেশের সবর্বৃহৎ উদ্ভিদ সংগ্রহশালা, ইন্টারনেট সুবিধা ছাড়াও নানান সুবিধা রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। যাহা দেশের অন্যান্য ক্যাম্পাসের তুলনায় গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে।২০০১ সালের এই দিনে জাতীয় সংসদে বিশ্ববিদ্যালয়টির আইন পাশ হয়।

[৫] জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মভূমি জেলা গোপালগঞ্জ শহরতলী সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নের গোবরা গ্রামের চৌধরীপাড়ায় প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়টি।২০১২ সালের ১৪ জুলাই রিজেন্ট বোর্ডের ৭ম সভায় প্রতিবছর ৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়।তারই ধারাবাকিতায় আজ ৮ জুলাই ৫৫ একর জায়গার উপর নির্মিত জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিবসটি সীমিত পরিসরে পালন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান আমাদের এ প্রতিনিধিকে বলেন, করোনা সংক্রমন চলাকালীন চাইলেও বড় করে দিবসটি উদযাপন করা সম্ভব হচ্ছেনা, আজকের এই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার জন্য সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। এ বছর ২০তম বর্ষে পদার্পণ করছে এই বিদ্যাপীঠটি, যদিও এর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২০১১ সাল থেকে কিন্ত ২০০১ সালের ১৩ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু ২০০১ সালের ২১ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক প্রকল্প স্থগিত ঘোষণা করা হয় এবং ২০০২ সালের ১৫ এপ্রিল প্রকল্পটি সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করে তৎকালীন চার দলীয় জোট সরকার। ২০০৯ সালের নভেম্বরে স্থগিত প্রকল্পটি পুনরায় চালু হয় এবং ২০১০ সালের ২০ জানুয়ারি বশেমুরবিপ্রবি আইন ২০০১ বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এসআরও জারি করে। ২০১১ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়