বিপ্লব বিশ্বাস : [২] রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দুটি থানার ১৫ থেকে ২০ পুলিশ সদস্যের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।গ্রেপ্তার কয়েক মাদক কারবারির দেয়া তথ্য এবং পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে এসব পুলিশ সদস্যের নাম। জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি সদর দপ্তরে চিঠি দেয়া হয়েছে। আর আদাবর থানার চারজনকে করা হয়েছে সাময়িক বরখাস্ত।
[৩] দিন কিংবা রাত, কারওয়ান বাজারের রেললাইন ধরে তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড পর্যন্ত দেখা মেলে মাদকসেবীদের।২৮শে জুন থেকে বেশকদিন তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড ও রেললাইন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে তেজগাঁওকেন্দ্রিক মাদক ব্যবসায়ী শারমিন ওরফে স্বপ্না, নুপুর, জাহিদা, ময়না, শিউলী, খলিলসহ অন্তত ২০জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তেজগাঁও ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার কয়েক পুলিশ সদস্যদের নাম আসে। এসব পুলিশ সদস্য কিছু সোর্সের মাধ্যমে, আবার কেউ সরাসরি মাদক স্পটে হাজির হয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে থাকে। তথ্যমতো গ্রেপ্তার করা হয় আল আমিন, কালু, মিজান ওরফে পল্টি মিজানসহ কয়েকজন সোর্সকে।
[৪] তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে। তদন্তে মাদক কারবারে এই দুই থানার ১৫ থেকে ২০ পুলিশ সদস্য জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। এদের মধ্যে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার অন্তত সাত সদস্যকে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের তিনজন উপপরিদর্শক, তিনজন সহকারী উপপরিদর্শক ও একজন কনস্টেবল।
[৫] তেজগাঁও থানার বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য জড়িত থাকার বিষয়টিও উঠে এসেছে। এদের মধ্যে অন্তত ৫ উপ-পরিদর্শক, কয়েকজন সহকারি উপ-পরিদর্শকের নাম এসেছে।
[৬] এ বিষয়ে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হারুন-অর-রশিদ বলেন, 'পুলিশ সদস্যরা কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর কোনো পুলিশ সদস্য যদি মাদক কারবারে জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
মাদক সিন্ডিকেটে যুক্ত পুলিশের অসাধু এসব সদস্যের বিরুদ্ধে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন উপ-পুলিশ কমিশনার হারুন-অর-রশিদ।
[৭] ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলছেন, যাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা প্রতিবেদন এসেছে আপাতত তাদের প্রত্যাহার করে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। মাদক কারবারি ও তাদের সহায়তাকারী কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।