লাইজুল ইসলাম : [২] রিজেন্ট হাসপাতালে র্যাবের অভিযানের পর নরে চরে বসেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগে থেকেই জানতো রিজেন্ট হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ নেই। মেয়াদ না থাকা অবস্থাতেই তাদের সঙ্গে সমঝোতা স্বারক সই করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসব সংশ্লীষ্ট মন্ত্রী নিজেই উপস্থিত ছিলেন।
[৩] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. আয়শা আক্তার বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বার বার তাগাদার পরও লাইসেন্স নবায়ন করেনি রিজেন্ট কর্তৃপক্ষ। অধিদপ্তরের হাসপাতাল কার্যালয় থেকে বেশ কয়েকবার চিঠি পাঠানো হলেও তারা লাইসেন্স নবায়ন করেনি।
[৪] লাইসেন্স নবায়ন না থাকা অবস্থায় একটি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি কিভাবে হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে আয়শা আক্তার বলেন, ঐ সময় একটি খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিলো। আমরা চিকিৎসার কথা আগে চিন্তা করেছি। রিজেন্টের লাইসেন্স নবায়ন না থাকলেও একটি হাসপাতাল প্রস্তুত আছে। সেটি ব্যবহার রোগীদের জন্য ব্যবহার করা জরুরি। তাছাড়া, রিজেন্ট হাসপাতাল এগিয়ে এসেছে।
[৫] আয়শা আক্তার বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। তারা ভূয়া রিপোর্ট দিয়ে বহুবর ধরনের অপরাধ করেছে।
[৬] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল পরিচালক ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুরের শাখা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য যে সমঝোতা চুক্তি হয়েছিলো তাও বাতিল হয়ে গেলো।
আপনার মতামত লিখুন :