অমি রহমান পিয়াল: আমরা কি অল্পতেই উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ি? অল্পতেই আদিখ্যেতা দেখাই? গত ৮ মাসে আমরা না হলেও শ’খানেক ওষুধের নাম শুনেছি, করোনার অব্যর্থ মহোষৌধ হিসেবে। ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, জার্মানি আমেরিকায় ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়ে গেছে শুনেছি। হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। তার ফলাফল জানা যায়নি। সফল হওয়ার কোনো দাবি যেহেতু ওঠেনি, তাই ব্যর্থই ধরে নিচ্ছি। ব্যাক টু স্কয়ার ওয়ান। বিজন শীলের মতো প্রমিজিং বিজ্ঞানীর টেস্টিং কিটও দিন শেষে বাতিল গণ্য হয়েছে।
গণস্বাস্থ্য নিজেই সেটা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে। যতোটা না বাংলাদেশ সরকারের অনীহায়, তারও বেশি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সেটার কার্যকারিতা অসার রায় আসায়। এর মধ্যেই খবর হয়েছেন ড. আসিফ মাহমুদ। করোনা ভ্যাকসিন সত্যিই আবিষ্কার হলে এদেশের মানুষ সে চিকিৎসা পেতে সময় লাগবে- এই বোধ থেকেই বাংলাদেশের মানুষের জন্য তিনি ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টায় শ্রম দিচ্ছেন। তার দাবি তিনি অনেকখানি সফল, এখন হিউম্যান ট্রায়ালে যাচ্ছেন, সফল হলে ডিসেম্বরেই বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাবে। অতীত অভিজ্ঞতাতেই এই খবরে কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখালেও, আশায় বুক বেধে আছি। আর দশটা গিমিকের একটি না হয়ে এই খবরটা সত্যি হোক। আসিফের হাত ধরে বাংলাদেশ অসাধ্যটা ঘটিয়ে ফেলুক এই মনোকামনায়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :