শিমুল মাহমুদ: [২] রাজধানীর সবচেয়ে বড় ফুলের বাজার শাহবাগ। প্রতিদিন সূর্য উঠার আগেই জমে উঠে বেচাকেনা, চলে দুপুর পর্যন্ত। তবে, কোভিড মহামারির কারণে এখন অনেকটাই ক্রেতা শূন্য এ ফুলের হাট।

[৩] ফুলচাষি নাসিম বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দাদন নিয়ে ফুলের চাষ করেছি। এখন বিক্রি নাই, ফুল ক্ষেতেই শুকিয়ে যাচ্ছে। নাটোর থেকে ঢাকায় ফুল নিয়ে আসার যে খরচ সেই টাকাও উঠে না। ২৫০ টাকা শ’ গোলাপ এখন ৩০ টাকায়ও কেউ কেনে না।

[৪] ফুল ব্যবসায়ী আব্দুল বলেন, প্রতিদিন দেড় থেকে দুই লাখ টাকার ফুল বিক্রি করেছি। এখন ৩ হাজার টাকার ফুল বিক্রি হয় না। বাকি টাকা তুলতে বসে থাকি, কেউ আসে না।

[৫] পাইকারি বাজারের পাশেই ফুলের মালা গাঁথছেন আয়তুন্নেসা (৫৯)। এই কাজ শেষ হবে সূর্য ডোবার পর। মুজরি পাবেন ১৫০ টাকা। প্রতিদিন বাজার করে অবশিষ্ট টাকা না থাকায় বৃদ্ধ স্বামীর ওষুধ কিনতে পারছেন না তিনি। এটাই তার জন্য এখন বড় কষ্টের।

[৬] তিনি বলেন, মালা গাথার কাজ করি ৩৫ বছর ধরে। আগে কোনো সময় এমন হয়নি। তখন দোকান মালিকরা ৫০০ টাকা করে দিতো। এখন রুজি নাই, কাজ কম।

[৭] ঢাকা ফুল ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সভাপতি শ্রী বাবুল প্রসাদ বলেন, দেশের কাঁচা পণ্যের মধ্যে ফুলের বাজারের সরকারি কোনো সহায়তা নেই। চাষি ও ব্যবসায়ীরাই নিজ উদ্যোগে এই ব্যবসা পরিচালনা করছেন।

[৮] তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে প্রথম ফুলের পাইকারি বাজার এটি। চাষীরা মাটিতে রেখে ফুল বিক্রি করে, ফলে বেশি সময় ফুলগুলো রাখা যায় না। আমরা সিটি করেপোরেশনকে অনেকবার বলেছি কিন্তু কারো উদ্যোগ নেই। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব