ইসমাঈল আযহার: [২] একজন অভাবে থাকা মানুষ ঢাকায় এসেছিলেন চিকিৎসা করতে। যে টেস্টগুলো তিনি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায় করতে পারতেন সেগুলো করতে তার লেগেছে ২২ হাজার টাকা। এরপর তিনি তার মায়ের চিকিৎসা করাতে না পেরে গ্রামে ফিরে গেছেন। আজকের সকাল, ৭১ টিভি
[৩] এ ঘটনার প্রেরিপেক্ষিতে টেস্ট সিন্ডিকেট, কমিশন বাণিজ্য নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আহমাদুল হাসান খানকে প্রশ্ন করা হয়, এই দূরাবস্থায়ও সিন্ডিকেট চালাতে হবে এবং চিকিৎসকরা এটির সঙ্গে জড়িত? উত্তরে তিনি বলেন, যেকোনো মহামারী পারিস্থিতিতে টেস্টের ব্যাপারটি সার্বজনিন হওয়া উচিৎ এবং গরীব মানুষরাও যেন চিকিৎসা করাতে পারে সেই ব্যাবস্থা থাকতে হবে। এখন গরীবের মানদণ্ড কী হবে, এটা কিন্তু নির্দিষ্ট নেই।
[৪] তিনি বলেন, ডাক্তাররা আক্রান্ত হচ্ছেন আমরা কিন্তু এবিষয়গুলো আগে নিয়ে আসি না। আর সিন্ডিকেট সিন্ডিকেটই। এসব দুর্বৃত্তরা অনেককিছুর সঙ্গে জড়িত হয়ে সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে। সুতরাং এই দুর্বৃত্তায়ন ভাঙাটা জরুরী, সেটা যেই হোক না কেন।
[৫] দৈনিক যুগান্তরের প্রধান প্রতিবেদক মাসুদুল করীম এ প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের সমাজ ব্যাবস্থা সিন্ডিকেট লালন করার মতো পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে, এটাকে দমন করার কোনো পরিবেশ তৈরি করেনি। সেজন্য এখন এটির ডালপালা বেড়েছে।
[৬] তিনি বলেন, একটা হলো আমাদের আর্ধিক অভাব, আরেকটা হলো আমাদের রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতা। সেদেশের জনগণকে সুন্দরভাবে কী করে সেবা দেওয়া যায় সেই সদিচ্ছা নেই। আর এই সদিচ্ছা যাদের নেই, তাদের বাধ্য করা বা আইনের আওতায় আনার মতোও কোনো ব্যবস্থা নেই।
আপনার মতামত লিখুন :