সালেহ্ বিপ্লব ও আসাদুজ্জামান বাবুল : [২] এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে উন্নত চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র জেলা শহরের অদুরে ঢাকা- খুলনা মহাসড়কের ঘোনাপাড়া মোড়ে অবস্থিত ।
[৩] হাসপাতালটিতে একজন পরিচালক, একজন উপ পরিচালক, ৩৬ জন চিকিৎসক, একজন সেবা তত্বাবধায়ক, একজন উপ-সেবা তত্বাবধায়ক, ১৮৮ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স ও ৪৭ জন তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী রয়েছেন। এই সংখ্যা প্রয়োজনীয় জনবলের চেয়ে অনেক কম। নার্সদের কোনও পদ শূন্য নেই। ঘাটতি অন্যান্য পদে।
[৪] ৯১ জন চিকিৎসকের স্থলে চিকিৎসক রয়েছে ৩৬ জন, ২৩৪ জন এমএলএস/ওয়ার্ডবয়সহ চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীর মধ্যে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী রয়েছে মাত্র ৪৭ জন।
[৫] তারপরও থেমে নেই হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম। ৬৩৪ জন জনবলের মধ্যে মাত্র ২৭৫ জন জনবল নিয়ে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দিচ্ছেন হাসপাতালটি। ৫০ বিঘা জমির উপর নির্মিত হাসপাতালে ২২টি বিল্ডিং ছাড়াও ২১৮টি ডরমেটরি,১৫১টি কোয়াটার ও দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার রোগীদের সঙ্গেঁ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজন ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা এবং পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে রোগীদের সঙ্গেঁ আসা লোকজনদের থাকার জন্য একটি গেষ্ট হাউস ও বিদেশীদের থাকার জন্য একটি গেষ্ট হাউসসহ উন্নতমানের দুটি গেষ্ট হাউস রয়েছে।
[৬] পরিচালক অধ্যাপক ডা, সাইফুদ্দিন আহম্মেদ বলেন,গোপালগঞ্জ বঙ্গমাতা চক্ষু হাসপাতালের মত এতোটা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হাসপাতাল দেশের অন্য কোন জেলা-উপজেলায় আছে কিনা আমার সন্দেহ।প্রবাসীরাও চিকিৎসা নিতে আসেন, এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই চক্ষু হাসপাতাল গোপালগঞ্জ তথা দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জন্য একটি আশির্বাদ।
[৭] তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ওয়াদা অনুযায়ী জনগনের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দেওয়ার নিমিত্তে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছি। গত ৪ মাস বহিবিভাগ,অন্ত-বিভাগ-জরুরী বিভাগ-অপরেশন কার্যক্রম চলছে। গোপালগঞ্জ ও এর আশপাশের পিরোজপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুর, বাগেরহাট, খুলনা ও নড়াইলসহ ৮টি জেলায় ২০টি সেন্টারে অনলাইনে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :