লাইজুল ইসলাম: [২] আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ আইসিডিডিআরবি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা একেএম তারিফুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, চলতি বছরের এপ্রিল-মে-জুন মাসে গড়ে প্রতিদিন ৪৫-৫০ জন আইসিডিডিআরবিতে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত বছর এই তিন মাসে প্রতিদিন চিকিৎসা নিয়েছেন ৫শ’ জন। এদের মধ্যে ৪শ’ নারি-পুরুষ। আর বাকি ১শ’ শিশু।
[৩] আইসিডিডিআরবি মনে করে, কোভিডের ভয়ে সাধারণ মানুষ ঘরের বাইরে বের হয়নি। হাত-মুখ পরিস্কার রেখেছে। ভালো খাবার খেয়েছে। একারণেই কমেছে।
[৪] সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম বড়ুয়া বলেন, এটি পানি বাহিত রোগ। গরমের মধ্যে পচা/নষ্ট/বাসি খাবার বিক্রি ও খাওয়া বন্ধ ছিলো। রাস্তার পাশের ফুসকা, চটপটি, রাস্তার পাশের খাবার ও বিয়ে-সাদি ও অনুষ্ঠানের রিচ ফুড বন্ধ থাকায় এাবার ডায়রিয়া কমেছে।
[৫] মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এবার গরম তেমন পরেনি তাই ডায়রিয়ার প্রকোপ কম।
[৬] কলেরা হাসপাতালের কনসালটেন্ট সংক্রমন ব্যাধি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তাজুল ইসলাম এ বারি বলেন, কোভিডের ভয়ে অনেকে হাসপাতালে আসছে না। অসুস্থ হলেও টেলিমেডিসিনের সহায়তা বাসায় বসেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। যা ইচ্ছা খাওয়া বাদ দিয়ে স্বাস্থ্য সম্মত খাবার খেয়েছেন।
[৭] কলেরা টিকার গবেষনা কাজে সম্পৃক্ত বিজ্ঞানি অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসি কাদরী বলেন, মার্চ থেকে জুলাই ডায়রিয়ার মৌসুম। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এটি বেশি ছড়ায়। ঢাকায় লোক কম থাকায় এটি ছড়ায়নি। ঢাকার বাইরেও ডায়রিয়ার রোগি কম।
[৮] আইসিডিডিআরবি বলছে, গরমের সময়ে এডাল্ট রোগি বেশি। শীতের সময় বাচ্চা রোগি বেশি। কোভিড মহামারি শেষ হলে ডায়রিয়ার প্রোকপ কেনো কম ছিলো তা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :