শিরোনাম
◈ আবদুল্লাহ জাহাজে খাবার থাকলেও সংকট বিশুদ্ধ পানির ◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র

প্রকাশিত : ০৬ জুলাই, ২০২০, ০২:৩০ রাত
আপডেট : ০৬ জুলাই, ২০২০, ০২:৩০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ত্যাগ আর বিপ্লবের আদর্শে সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন মোহাম্মদ ফরহাদ

রায়হান রাজীব : [২] রোববার দেশের বাম ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা ফরহাদের ৮২তম জন্মবার্ষিকী। জন্ম ১৯৩৮ সালে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার জমাদারপাড়া গ্রামে। সংগ্রামী ও আত্মত্যাগী রাজনৈতিক জীবনে অনেকটা সময় কাটাতে হয় কারাবন্দি অবস্থায়, রাজদ্রোহ মামলায় নির্যাতিত হয়ে আর আত্মগোপন অবস্থায়।

[৩] ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের সকল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ফরহাদের ভূমিকা ছিল প্রধান।  রাজনৈতিক ছদ্ম নাম ছিল ‘কবির’। ১৯৫২ সালে মহান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে দিনাজপুর জেলা স্কুলের ছাত্র হিসেবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫৫ সালে কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম সংগঠক ও সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। স্বাধীনতার পর দলটির সাধারণ সম্পাদক হন এবং আমৃত্যু দায়িত্বে থাকেন।

[৪] ৬০ হতে ৮০ দশক পর্যন্ত ফরহাদ ছিলেন বাংলাদেশের সকল আন্দোলনের কেন্দ্র। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনের ছিলেন মূল নেতা। ৬৯’র ১১ দফা আন্দোলনের ছিলেন নেপথ্য নায়ক। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গঠিত ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের বিশেষ গেরিলা বাহিনীর অন্যতম প্রধান সংগঠক।

 

[৫] ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান সরকার তাকে গ্রেফতার করে এবং বিনা বিচারে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাখে। তার আটকাদেশের জন্য সরকারের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের বিচারপতি রায় দেন, ‘মোহাম্মদ ফরহাদকে বিনাবিচারে আটক রাখা অন্যায় এবং সরকার বেআইনিভাবে তাকে আটক রেখেছে। সরকারপক্ষ মামলায় হেরে যায়।

[৬] ১৯৮০ সালে তাকে আবার রাজদ্রোহের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। ‘বিপ্লব’ ও ‘সরকারকে শক্তি বলে উৎখাতের’ মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়। ১৯৮১ সালে তিনি জামিনে মুক্তি পান। ১৯৮৩ সালে এরশাদের সামরিক সরকার আবার তাকে গ্রেফতার করে এবং ক্যান্টনমেন্ট জেলে অন্ধকার কক্ষে ১৪ দিন আটক রাখে।

[৭] জেনারেল এরশাদের শাসনের বিরুদ্ধে ১৫ দল ও ৭দলের যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তোলায় ভূমিকা ছিল মূখ্য। দিয়েছিলেন দুই নেত্রীর ১৫০-১৫০ আসনে নির্বাচন করার ফর্মূলা। ভীত হয়ে এরশাদ অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন কোন প্রার্থী ৫টির বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।  পরিকল্পনা ছিলো ২০০০ সালের মধ্যে বিপ্লব সংগঠিত করার।

[৮] ১৯৬০-৬২ সাল পর্যন্ত দৈনিক ‘সংবাদ’ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫ দলীয় জোটের পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন এবং পঞ্চগড়-২ আসন থেকে এমপি হন । ১৯৮৭ সালের ৯ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মস্কোয় মারা যান মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদের আদর্শে আত্মনিবেদিত এই কমিউনিস্ট।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়