টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: [২] রোববার উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের মাইস্তা চৌধুরীবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত আঁখি আক্তারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হয়েছে। অভিযুক্ত ফারুক হোসাইন, মির্জাপুর উপজেলার বুসুন্দী গ্রামের আব্দুল রহমানের ছেলে।
[৩] ফারুক রোববার ভোররাতে আঁখি আক্তারের বাবার বাড়ির সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে কাঁচি দিয়ে আঁখির চোখে আঘাত করে পালিয়ে যায়। আঁখির চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হয়।
[৪] আঁখি আক্তারের পরিবার জানায়, সাত বছর আগে মির্জাপুর উপজেলার বুসুন্দী গ্রামের আব্দুল রহমানের ছেলে ফারুক হোসাইনের সঙ্গে আঁখি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসার ভালোই চলছিলো। তাদের সংসারে দুই বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে।
[৫] ফারুকের বাবা বিদেশ থাকেন। ফারুক ও তার মা মাদক ব্যবসায় জড়িত। পরবর্তীতে ফারুক তার স্ত্রী আঁখি আক্তারকে মাদক বিক্রি করতে বলে। আঁখি সেটা অস্বীকার করলে তার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। নির্যাতন সইতে না পেরে কয়েক বছর আগে আঁখি বাবার বাড়ি চলে আসে। পরবর্তীতে পারিবারিকভাবে বিরোধ মীমাংসা করে আঁখি আক্তারকে আবার ফারুকের বাড়ি পাঠানো হয়। কিন্তু তারপরও ফারুক তার স্ত্রীকে মাদক বিক্রির জন্য চাপ দিতে থাকে। আঁখি আক্তার রাজি না হওয়া আবারও নির্যাতন শুরু হয়। গত এক বছর আগে ফারুকের কাছ থেকে আঁখি চলে এসে গাজীপুরে এক গার্মেন্টস চাকরি নেয়। সেখানেও তাকে ফোন করে চোখ উপড়ে ফেলাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয় ফারুক। গত রমজান মাসে ফারুক গাজীপুরে আঁখির বাসায় গিয়ে ছুরি দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে আঁখিকে মারাত্মক আহত করে। ওই ঘটনায় গাজীপুর সদর থানায় এক সাধারণ ডায়েরীও করা হয়। তার পর থেকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে আঁখি ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ফারুক।
[৬] কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আল মামুন জানান, ঘটনা জানতে পেরে সেখানে একজন এসআইকে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :