ইয়াসিন আরাফাত : [২] নাসা জানিয়েছে, সান ডিয়েগোর কাছে পালোমার অবজারভেটরিতে বসানো ‘জুইকি ট্রানসিয়েন্ট ফেসিলিটি (জেডটিএফ)’ টেলিস্কোপেই ধরা পড়েছে এই বিরল দৃশ্য। গবেষণাপত্রটি বেরিয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘ফিজিক্যাল রিভিউ লেটার্স’-এ। গবেষণায় বলা হয়েছে, মহাকর্ষীয় তরঙ্গের পাশাপাশি হয়তো এই আলোর ঝিলিকও এ বার হয়ে উঠবে ব্ল্যাক হোলের রহস্য-জগতের আরও এক বার্তাবাহক। আরও এক ‘রানার’! ব্ল্যাক হোলকে চেনা, জানার আরও একটি চাবিকাঠি। আনন্দ বাজার
[৩] সংস্থ্যাটি বলছে, এই আলোর ঝিলিক দেখা গিয়েছে একে অন্যের চার দিকে ঘুরতে ঘুরতে কাছে এসে পড়া দু’টি ব্ল্যাক হোলের মধ্যে খুব জোরে ধাক্কাধাক্কি/সংঘর্ষ (‘কলিশন’) হওয়ার পর। ওই ধাক্কাধাক্কিতে তুলনায় ছোটখাটো দু’টি ব্ল্যাক হোল (সূর্যের চেয়ে একটু বেশি ভারী) মতো মিলেমিশে গিয়ে একটি বড় ব্ল্যাক হোল তৈরি করেছে। আলোর ঝিলিকটা বেরিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে নবজাতক বড় ব্ল্যাক হোলটি থেকে। আর সেই ঝিলিকটি গত বছরের ২১ মে আমাদের নজরে এসেছে। আলোরও যে মহাকাশে অনেকটা পথ পেরিয়ে আসতে হয়।
[৪] গবেষকরা বলছেন, ব্ল্যাক হোলকে দেখার উপায় নেই। যেহেতু এই তরঙ্গ আলোর মতো কোনও তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ নয়, তাই কোনও টেলিস্কোপে বা আলোসন্ধানী যন্ত্রে তা ধরা পড়ে না। তা ধরা পড়ে বিশেষ এক ধরনের যন্ত্রে। ‘লাইগো (লেসার ইনটারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ অবজারভেটরি)’-র ডিটেক্টরে। তাই ব্ল্যাক হোলের অজানা জগতের খবরাখবর আমাদের কাছে এত দিন বয়ে আনত মহাকর্ষীয় তরঙ্গই। যার আবিষ্কার হয় ২০১৬-য়। এই তরঙ্গই আপাতত ব্ল্যাক হোলের এক ও একমাত্র বার্তাবাহক আমাদের কাছে। এ বারও দু’টি ছোট ব্ল্যাক হোলের মধ্যে সংঘর্ষে একটি বড় ব্ল্যাক হোল জন্মানোর সময় মহাকর্ষীয় তরঙ্গ তৈরি হয়েছে। সঙ্গে দেখা গিয়েছে এই আলোর ঝিলিকও। ঘটনাটির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘জিডব্লিউ১৯০৫২১জি’।
আপনার মতামত লিখুন :