বিপ্রতীপ দাস : [২] চায়নাম্যান শব্দটা হালে জনপ্রিয় হলেও এর উৎপত্তি কিন্তু বেশ আগে। ১৯৩৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এলিস অ্যাসঙ অভিনব এক বল করে বসেন। বল ডেলীভারীর সময় আংগুলের ব্যবহার না করে করলেন কব্জির ব্যবহার। অর্থডোক্স বোলিং ডানহাতি ব্যাটস ম্যান দের জন্য লেগ স্পিন হয়ে যায়। কিন্তু এলিস অ্যাসঙ বলটি অফ স্ট্যাপ দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার বদলে স্ট্যাম্প এর দিকে ঢুকে গেল। এতেই লাইন মিস করে বসেন ইংল্যান্ড এর রবিন্স।
[৩] সাফল্যের মানদন্ডে কল্পনাপ্রসূত চলমান চাতুর্য ধারার পথিকৃৎ বলা যেতে পারে আচঙকেই।
[৪] ক্যারিবীয় এই কীর্তিমানের সহযোদ্ধা নিকোলাস 'ক্যারাবিয়ান লাইফ' নামক গ্রন্থে সতীর্থ এলিস অ্যাসঙ প্রসঙ্গে বলেছেন, "আমি এলিস অ্যাসঙ বোলিংই কাছ থেকে দেখেছি, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি এলিস অ্যাসরঙের ধীরগতির চায়নাম্যান বোলিং এ স্বর্গের দেবতাও লোভাতুর হয়ে নিজের উইকেট খুইয়ে বসবেন।"
-'ক্যারাবিয়ান লাইফ'
[৫] ৮ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে বিবর্ণ এলিস অ্যাসঙ প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ছিলেন দূর্বার। দেশের হয়ে সাকুল্যে ৬ উইকেট পাওয়া এই ঘূর্ণি তারকা ত্রিনিদাদের হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৩০.২৩ গড়ে ১১০ উইকেট আপন ঝুলিতে পুড়েছেন। ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে মাঠ মাতানো এই ক্যারাবিয়ানের সংগ্রহে আছে হাজারের উপরে উইকেট, যার মধ্যে একবার এক ইনিংসে দশ উইকেট নেয়ারও রেকর্ড রয়েছে।
[৬] ক্যারিবীয় দ্বীপ রাষ্ট্রের পোর্ট অফ স্পেনে ১৯০৪ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি জন্ম নেন চায়নাম্যান বোলিং এর জনক। ১৬ বছরের কাউন্টি ক্যারিয়ারের ইতি টেনে তিনি দেশে ফেরেন ১৯৫১ সালে। অবশেষে ১৯৮৬ সালের ৩০ আগষ্ট ৮২ বছর বয়সে জীবনাবসান ঘটে চায়নাম্যান স্রষ্টার। -ক্রিকফিজ
ক্রীড়া লেখক
আপনার মতামত লিখুন :