আতিক খান : বাংলাদেশে বিবাহিত পুরুষদের অনেকেই খুব বেসিক একটা ভুল করেন। ইগো কিংবা অন্য কারণে তারা বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির সাথে একটা দূরত্ব বজায় রাখেন। শ্বশুর-শাশুড়ির সাথেও বাবা, মা ডাকা, আর বিভিন্ন উৎসব বা দাওয়াতে হাজির হয়ে পোলাও বিরিয়ানি খাওয়া পর্যন্তই তাদের দৌড়। এই দূরত্ব তৈরি হবার আরেকটা মূল কারণ অবশ্য মেয়ের বাড়ি হতে যৌতুক, অর্থ বা বিভিন্ন উপহার দাবি করা। এতে যে শ্বশুরবাড়িতে তাদের সম্মান অনেকটাই কমে যায়। লোভের কাছে সেই বোধটুকুও হারিয়ে যায়। এদিকে তাদের অনেকেই অভিযোগ করেন, সহধর্মিণীরা তাদের বাবা, মায়ের ঠিকমত সেবাযত্ন করেন না।
পুরুষরা যদি এসব ক্ষেত্রে একটু ব্যালেন্স করে সম্পর্ক রক্ষা করতে পারেন। তাহলে উভয় কুলই রক্ষা হয়। বউয়ের বাবা-মাকে শ্রদ্ধা, সম্মান দিলে। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের ঠিকমতো খোঁজখবর নিলে। বউয়ের আত্মীয়দের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করলে। বিপদ-আপদে পাশে থাকলে সবদিকেই লাভ হয়। সহধর্মিণীর সাথে কোনো সমস্যা হলে শ্বশুরবাড়ির দিক হতেও কিছুটা সমর্থন পাওয়া যায়। আর নিজেদের যেকোনো বিপদে একপক্ষের জায়গায় দুইপক্ষই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। আর এতে সবচেয়ে বড় লাভ হয়। স্বামীর প্রতি সহধর্মিণীর শ্রদ্ধা-ভালবাসা আরও বৃদ্ধি পায়। নিজের আত্মীয়স্বজনের প্রতি স্বামীর আন্তরিকতা এবং দায়িত্ববোধ দেখে সহধর্মিণীও শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে দ্রুত আপন করে নেয়। শ্বশুর-শাশুড়িকে নিজ বাবা-মায়ের মতোই সেবাযত্ন করতে শুরু করে। সবার ক্ষেত্রে না হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ফর্মুলা কাজ করবে। চেষ্টা করে দেখতে পারেন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :