বিশ্বজিৎ দত্ত : [৩] অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মার্চ থেকে মে পর্যন্ত সরকার রাজস্ব পায়নি। একারণে বিপুল রাজস্ব ঘাটতিতে পড়তে হয়েছে। এর পরিমাণ প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজস্ব আয় ছিল ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা।
[৪] ঘাটতি পুরণে সরকার বিশ্বব্যাংক আইএমএফসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ পায়। বাকি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকও সঞ্চয়পত্র থেকে। এই সময়ে ১২ হাজার কোটি টাকার ট্রেজরি বন্ড বিক্রি করেছে সরকার।
[৫] চলতি মাসে সরকার কোন ঋণ নেয়নি। অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা মনে করছেন রাজস্ব ঘাটতি সত্ত্বেও আগামী মাসে সরকার পরিচালনায় আর ঋণ করতে হবে না। কারণ হিসাবে বলেন সরকারের উন্নয়ন ব্যয় কমে গেছে।
[৬] পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানা যায়, কোভিডের কারণে কোথাও কোন কাজ হয়নি। গত বছর জুন পর্যন্ত সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন ছিল ৯৪ শতাংশ। ৩ মাসে পদ্মা সেতুর উন্নয়ন ৩ আর সকল প্রকল্পের ৬৯ শতাংশগত বছরের চেয়ে এবার ৬ হাজার কোটি টাকা এই সময়ে কম ব্যয় হয়েছে।
[৭] সিনিয়র সচিব অর্থনীতিবিদ ড. শামসুল আলম বলেন, অর্থনীতি ছন্দে ফিরছে এখন ব্যয় বাড়বে। আর সরকারি ব্যয় বৃদ্ধিই হবে কোভিড থেকে অর্থনীতিকে গতীতে আনার একটি বড় মাধ্যম।
আপনার মতামত লিখুন :