লিহান লিমা: [২] চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংয়ে গত ১ জুলাই কার্যকর হওয়া নতুন নিরাপত্তা আইনে ঝুঁকিতে রয়েছেন বিদেশী নাগরিকরাও। হংকংয়ের অধিবাসী নন এমনকি চীনা নাগরিকও নন এমন যে কোনো বিদেশী ব্যক্তি হংকং ইস্যুতে চীন সরকারের সমালোচনা করলে এই আইনের আওতায় পড়বেন। এমনকি তিনি যদি যাত্রাবিরতিতেও হংকং বিমানবন্দরে নামেন তাও তিনি গ্রেপ্তারের ঝুঁকির মধ্যে থাকবেন। সিএনএন।
[৩] অস্ট্রেলিয়ার মেলর্বোন থেকে চীনা-অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভুত বাদিউকো বলেন, ‘এটি ভয়ঙ্কর এবং উদ্বেগজনক। শুধু হংকংবাসীর জন্যই নয় বরঞ্চ যারা হংকং এবং চীনের মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনা করেন তাদের জন্যও।’ চীনের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম সমালোচক বাদিউকো আরো বলেন, গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় এখন থেকে আর হংকং বিমানবন্দরে নামবেন না তিনি।
[৪] শতবর্ষব্যাপী ব্রিটিশ শাসনের থাকার পর হংকংকে চীনের কাছে ‘এক দেশ, দুই নীতি’র আওতায় প্রত্যাপর্ণ করা হয়। এতদিন যাবত চীনা বংশোদ্ভুত, পশ্চিমা শিক্ষাবিদ ও গবেষক এবং বৈশ্বিক বে-সরকারি সংস্থাগুলোর বৈঠকের জন্য হংকং ছিলো নিরাপদ স্বর্গস্বরুপ। কিন্তু নতুন আইনে হংকংয়ের এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেছে।
[৫] মার্কিন সিনেটের মার্ক রুবিও এক টুইটে মার্কিন নাগরিকদের হংকং সফরে সতর্ক করে বলেছেন, ‘হংকংয়ে ব্যবসাসহ অন্য যে কোনো কাজে ভ্রমণে মার্কিনিদের সতর্ক থাকতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে যে কোনো কিছু বলার জন্য চীন আপনাকে গ্রেপ্তার করতে পারে।’
[৬] ইয়েল ল পল তাসাই সেন্টারের সিনিয়র ফেলো জেরেমি ডাম বলেন, ‘এই আইনে বাক-স্বাধীনতাকে অপরাধ বানানো হয়েছে, যদি আপনি মুখ খোলেন তবে আপনাকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। হংকং নিরাপদ স্থান ছিলো। কিন্তু এখন আর এটি নিরাপদ নয়।’
[৬] হংকংয়ের প্রশাসক ক্যারি লাম ‘গত কয়েক মাস ধরে শহরে চলা সহিংসতার বিলোপের জন্য এই আইনটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করেছেন। নতুন আইনে বিদ্রোহ, বিচ্ছিন্নতাবাদ, বিক্ষোভ ও বিদেশী শক্তির সঙ্গে আঁতাতকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ঘোষণা করে যাবজ্জীবন পর্যন্ত সাজার বিধান রাখা হয়েছে। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :