[২] তৌহিদুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ হইতে বিশুতারা সড়কের পাশে অবস্হিত বিশুতারা গ্রাম থেকে মঠখলা গ্রামের সড়কের মাথা পর্যন্ত বাঁশের খুঁটিতে করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে।
[৩] অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হলেও স্থানীয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা এর কিছুই জানেন না। স্থানীয়দের অভিযোগ, সিমেন্টের তৈরি বিদ্যুতের খুঁটির জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনেক ধরনা দিয়েও তারা বরাদ্দ পাননি।
[৩] খুঁটি দিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সরাইল কার্যালয়ে কর্মরতরা গ্রামবাসীর কাছে অতিরিক্ত টাকা দাবি করেছেন। দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় তাদেরকে খুঁটি দেয়া হয়নি।
[৪] সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিশুতারা গ্রামের পূর্বদিকের পুরাতন বিদ্যুৎ লাইনের ষ্টীলের খুঁটি থেকে মঠখলা গ্রামের প্রধান রাস্তা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে মোট ১১টি বাঁশের খুঁটি ব্যবহার করা হয়েছে।
[৫] জানা যায়, বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বাঁশের খুঁটি ব্যবহার করা বিধি-লঙ্ঘন। নিয়ম অনুসারে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কমপক্ষে ১০০ ফুট দূরত্বে থাকা গ্রাহককে সুরক্ষিত কোনো খুঁটির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেবে, যাতে বিদ্যুতের তারগুলি ভূমি থেকে কমপক্ষে সাত মিটার উপর থাকে।
[৬] গ্রামবাসীরা জানায়, বাঁশের খুঁটিতে তার ঝুলিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের কারণে যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে খুঁটির জন্য যোগাযোগ করলেও পিডিবির লোকজন কালক্ষেপণ করছেন।
[৭] সরাইল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী নেওয়াজ আহমেদ খান বলেন, বাঁশের খুঁটি দিয়ে সংযোগ টানা আইনসম্মত না। আমি বিষয়টি খোঁজখবর নিচ্ছি। আসলে এটি আমাকে আগে কেউ বলেননি। সম্পাদনা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :