মহিউদ্দিন আহমেদ: আজ শুক্রবার, ৩ জুলাই, ২০২০ সকাল থেকে, আজকের 'প্রথম আলো'তে ডা: জাফর উল্লাহ চৌধুরীর সাক্ষাৎকারের সেই উধ্বৃতিটি মনে পডলেই, নিজে নিজে হাসছি। ইতোমধ্যে আমি দশ- বারো বার হেসে ফেলেছি। পুরো পৃসঠার এই সাক্ষাৎকারটি নিয়েছে আমার খুব প্রিয় সাংবাদিকদের একজন, মিজানুর রহমান খান। সাক্ষাৎকারে ডা: জাফর উল্লাহ চৌধুরীকে অনেক সমসাময়িক বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় ; তিনিও খোলাখুলিভাবে সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।
এখানে স্পস্ট করে বলা দরকার যে ডা: জাফর উল্লাহ চৌধুরী আমার ঘনিসঠ বন্ধুদের একজন ; ৭১এ লন্ডনে আমাদের বন্ধুত্বের শুরু এবং আমাদের দু' জনের জীবনে ঘটে যাওয়া এতসব সংকটেও তা এখন পর্যন্ত অটুট আছে ; আশা করি ভবিষ্যতেও ইনশা'আল্লাহ তা অটুট থাকবে।
ডা: জাফর উল্লাহ চৌধুরী এক প্রশ্নের জবাবে মিজান খানকে বলেছেন, "বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন আমাকে বের করে দিয়েছে। কিন্ত ব্রিটিশ মেডিকেল এসোসিয়েশন আজীবন সম্মানিত সদস্য করেছে বিনা ফি'তে"।এতটুকু পডার পর আমার হাসি। এরপর আরও কিছু কথা আছে, তার সদস্যপদ নিয়ে ; কিন্ত সেগুলো প্রাসংগিক নয় বলে আর উল্লেখ করলাম না।
না, শুধু এই জবাবটি আমার হাসির একমাত্র কারন নয়। আমার চট করে মনে পডে গেল, আমাদের স্বাধীনতার কবি, কবি শামসুর রাহমানও আমাদের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য হতে পারেন নি !! এই প্রেস ক্লাবের সদস্য হতে হলে নির্বাহী কমিটীর সকল সদস্যের "হ্যাঁ "সূচক ভোট পেতে হয়; কিন্ত আমার এই কবিভাই তা কোনদিন পান নি। অথচ, আমরা সকলেই জানি, তিনি তাঁর কর্মজীবনের প্রায় পুরোটা ইংরাজী দৈনিক মর্নিং নিউজ ( ৫০ বছর আগে অবলুপ্ত ) এবং দৈনিক বাংলাতে (২৫ বছর আগে অবলুপ্ত) কাটিয়েছেন।
কবি শামসুর রাহমান প্রেস ক্লাবের সদস্য হতে পারেন নি; কিন্ত প্রেস ক্লাবের সদস্য ছিল যুধ্বাপরাধী কামরুজ্জমান এবং আর এক যুধ্বাপরাধী কাদের মোল্লা বা এমন কেউ, জামাতের "দৈনিক সংগ্রাম" এর সাংবাদিক হওয়ার সুত্রে !! সেই বিশ বছর আগে আমি প্রেস ক্লাবের এক সভাপতিকে প্রস্তাব করেছিলাম, কবি শামসুর রাহমান এখনও বেঁচে আছেন,তাঁকে "সম্মানিত সদস্য" করে নিন।তিনি আমার প্রস্তাবকে গুরুত্ব দেন নি; তার গুরুত্ব দেয়ার হয়ত কথাও নয়। তিনি এককালে ছাত্র লীগ করতেন শুনি, কিন্ত পরে আওয়ামী লীগে থাকেন নি। কিন্ত আওয়ামী লীগ করেন, এমন কয়েকজন ইতোমধ্যে সভাপতি হিসাবে এসেছেন এবং গেছেন ; কিন্ত তারা কি করলেন ?
ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :