শিরোনাম
◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট

প্রকাশিত : ০৩ জুলাই, ২০২০, ১১:১৩ দুপুর
আপডেট : ০৩ জুলাই, ২০২০, ১১:১৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] দেহে অ্যান্টিবডি না থাকলেও সংক্রমণ ঠেকানো যাবে

সাদেক আলী: [২] একবার কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে তা থেকে সেরে উঠতেই দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যায়। তখন আপনি ভাইরাস-প্রতিরোধী হয়ে যাবেন। তার আগে নয়। কিন্তু নতুন এক জরিপে দেখা যায়, যাদের দেহে কোভিড-১৯ অ্যান্টিবডি পাওয়া যায়নি, তাদের দেহেও এ ভাইরাস প্রতিরোধের অন্তত খানিকটা ক্ষমতা থাকে।

[৩] সেই ক্ষমতা কোথা থেকে আসে? এ ব্যাপারে সুইডেনের কারোলিনস্কা ইন্সটিটিউটের গবেষকরা বলছেন, তা আসে ‘টি-সেল’ নামে রক্তে থাকা এক ধরনের কোষ থেকে। যার কাজ দেহকোষে সংক্রমণ হলেই তাকে আক্রমণ করে ধ্বংস করা।

অ্যান্টিবডি কী?

[৪] কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ক্ষমতার গবেষণায় এতদিন বেশি মনোযোগ দেয়া হয়েছে অ্যান্টিবডির দিকেই। ‘এটা হচ্ছে ইংরেজি ওয়াই অক্ষরের মতো দেখতে একটা প্রোটিন। যা ঠিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে একটা লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার মতোই কাজ করে” - বলছেন জরিপ রিপোর্টের অন্যতম প্রণেতা সহকারী অধ্যাপক মার্কাস বাগার্ট।

[৫] কোভিড-১৯ মানুষের দেহকোষে ঢোকার আগেই এই অ্যান্টিবডিটা ভাইরাসের সাথে আটকে গিয়ে তাকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। আর যদি অ্যান্টিবডি এটা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে কোভিড-১৯ দেহকোষের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং সেটা আরও ভাইরাস তৈরির কারখানায় পরিণত করে।
টি সেল কী?

[৬] বিজ্ঞানীরা বলছেন, টি-সেলের এক ধরনের “স্মৃতিশক্তি” আছে। টি-সেল ভাইরাসটিকে চিনতে পারলেই, ভাইরাস যে কোষগুলোকে সংক্রমিত করেছে তা টার্গেট করে এবং সেগুলো ধ্বংস করতে থাকে।

[৭] জরিপটি চালানো হয় ২০০ লোকের ওপর । তাদের দেহে অ্যান্টিবডি এবং টি-সেল দুটোই আছে কিনা, সেটাই এই জরিপে পরীক্ষা করা হয়েছিল। জরিপে দেখা যাচ্ছে, প্রতি একজন অ্যান্টিবডি-বিশিষ্ট ব্যক্তির বিপরীতে দু’জন করে লোক পাওয়া যাচ্ছে যাদের রক্তে এমন টি-সেল আছে। যা সংক্রমিত দেহকোষ চিহ্নিত করে তা ধ্বংস করে ফেলতে পারে। এর মধ্যে এমন লোকও আছে যারা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন কিন্তু তাদের উপসর্গ ছিল খুবই মৃদু বা আদৌ কোন উপসর্গ দেখা যায়নি।

[৮] লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের অথ্যাপক ড্যানি অল্টম্যান বলছেন, “এটা একটা চমৎকার জরিপ। যাতে আবারও প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে যে, মানুষের কোভিড-১৯ - প্রতিরোধ ক্ষমতার ব্যাপারটা শুধু অ্যান্টিবডি টেস্ট দিয়ে বোঝা সম্ভব নয়।”

[৯] অনেক কিছুই এখনও অজানা, তবে এই বিজ্ঞানীরা বলছেন, টি-সেল কোভিড-১৯ সম্পূর্ণ আটকে দিতে পারে কিনা- এটা এখনও অজানা। এটা জানার জন্য আরও বিশ্লেষণের প্রয়োজন হবে। সূত্র: বিবিসি, একুশে টিভি অনলাইন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়