রেজাউল করিম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : [২] সিরাজগঞ্জে বন্যার পরিস্থিতি অপরিবর্তিত। যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২১৬ গ্রামের ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার কারনে ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেকে শহর রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যায় জেলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাজীপুর উপজেলা।
[৩] জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের বন্যায় ক্ষয় ক্ষতির বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বন্যায় সিরাজগঞ্জে ৫টি উপজেলার ৩৩টি ইউনিয়নের ২১৬টি গ্রামের ১লাখ ৫৯ হাজার ১৫৩ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় ৩০টি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ এবং ৫টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার কাজীপুর উপজেলায় ৩ হাজার ৫৫০ হেক্টর এবং চৌহালী উপজেলায় ১৫ হেক্টর ফসলী জমি সমপূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ২২০টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ এবং ১০৬০টি ঘর-বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এপর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬৮৪ পরিবার ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় রয়েছে।
[৪] গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার বেড়ে কমলেও এখনও বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিতে চরাঞ্চলের ফসলী জমি, ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে।
[৫] জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে ১২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
[৬] জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাবিবুল ইসলাম বলেন, জেলার কাজীপুর, ও চৌহালী উপজেলায় ৩৫৬৫ হেক্টর ফসলী জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি না কমলে ক্ষতির পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে। সম্পাদনা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :