সুজিৎ নন্দী : [২] ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মানুষ বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে টাকা আসবে। তাই তিনি ঢাকার বাইরে তুলনামূলক কম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে রাজধানীর ভেতরে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোরবানির পশুর হাট না বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হাটের জন্য আগে যেসব দরপত্র আহ্বান করা হয়ছিল, তা সবই বাতিল করা হবে। হাট নতুন করে ইজারা দেওয়া হবে।
[৩] তিনি বলেন, অনলাইনে যারা পশু কিনতে চান, তাদের জন্য করপোরেশনের পক্ষ থেকে কী ধরনের উদ্যোগ নেয়া যায়, এ বিষয়টি নিয়ে তারা চিন্তাভাবনা করছেন। পাশাপাশি হাট ইজারা দিয়ে হয়তো কোটি টাকা আয় করা যাবে, কিন্তু টাকার চেয়ে মানুষের জীবনের মূল্য অনেক বেশি।
[৪] ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আফতাবনগর এলাকায় আমাদের একটা হাট বসে। পাশেই দক্ষিণ সিটিরও একটা হাট বসে। যেহেতু একই এলাকায় দুটি হাট বসছে, তাই আমি সেখানে হাট না বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
[৫] তিনি আরো জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় গাবতলী স্থায়ী পশুর হাট বাদে আরও ১১টি স্থানে অস্থায়ী হাট বসানোর জন্য গণমাধ্যমে দরপত্র আহ্বান করেছিল ডিএনসিসি। ইতিমধ্যে প্রথম দফায় দরপত্র খোলার পর কয়েকটিতে সরকারি মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ইজারাদার পাওয়া গিয়েছিল।
[৬] ডিএনসিসি মেয়র জানান, মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দাদের জন্য বছিলার ভেতরে রায়েরবাজার কবরস্থান এলাকায় একটা হাট দেয়া হবে। এ ছাড়া হাট থাকবে পূর্বাচল ব্রিজ সংলগ্ন মস্তুল ডুমনী ও ১০০ ফুট সড়কের সাইদ নগর এলাকায়। গাবতলী স্থায়ী পশুর হাট থাকবে জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, কোভিড সংক্রমণের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আমরা ঢাকার ভেতরে পশুর কোনো হাট না রাখার কথা ভাবছি। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :