তাপসী রাবেয়া: [২] সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত দুটি নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৫৬ হাজার ৯৩৬ প্রার্থী গত এক বছর ধরে প্যানেল শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের দাবি করে আসছেন। তাদের অনেকের চাকরির বয়স পেরিয়ে গেছে। তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, আর কোনও প্যানেল করা হবে না। নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
[৩] ২০১৪ সালে স্থগিতের পর ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৯ হাজার ৭৮৮ জন এবং ২০১৮ সালে নিয়মিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৭ হাজার ১৪৮ জন প্যানেলভুক্তির দাবি জানিয়ে আসছেন।
[৪] জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল হোসেন বলেন, ‘আমরা নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেবো। ২৬ হাজারের বেশি শূণ্য পদ রয়েছে। আমি মহাপরিচালককে বিজ্ঞপ্তি প্রস্তুত করতে বলেছি। কোনও প্যানেল হবে না। প্যানেল করার সুযোগ নেই।’
[৫] আগে উত্তীর্ণদের প্যানেল করা হতো, এখন কেন হবে না জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘২০১৪ সালের আগের যাদের প্যানেল করা হয়েছিল, তাদের মামলা শেষ হওয়ার পর সবাইকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখন নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হবে।
[৬] সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিলে নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা ২০১০ ও ২০১১ সালের পুল ও প্যানেলভুক্ত প্রার্থীরা তাদের নিয়োগ নিশ্চিত করার দাবিতে উচ্চ আদালতে ৪৯০টি রিট আবেদন করেন। প্যানেলভুক্ত ছিলেন ৪২ হাজার ৬১১ জন উত্তীর্ণ প্রার্থী। আবেদনে পুল ও প্যানেলভুক্ত নিয়োগের অপেক্ষায় থাকাদের নিয়োগ নিশ্চিত না করে কেন নতুন করে দেওয়া বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :