শেখ সাইফুল : [২] বিয়ের প্রলোভনে মাসের পর মাস ধর্ষণের, ফলে ধর্ষিতা কিশোরীর গর্ভে ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। বাগেরহাটে মোংলা উপজেলার মালগাজী মিশনবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটলে ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তানের পিতৃ পরিচয় পেতে সমাজপতি ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন অসহায় বাবুল মন্ডলের মেয়ে পাপিয়া মন্ডল। কিশোরীর দাবী অনাগত এ সন্তানের পিতা একই গ্রামের বাশতীন সরকারের ছেলে পার্থ সরকার।
[৩] এলাকাবাসী বলছে, ‘কে হবে এই নবাগত সন্তানের বাবা?’ কে এর ভবিষ্যতের দায়িত্ব নিবে এমন সামাজিক একাধিক প্রশ্নের সম্মুখিন ধর্ষিতা কিশোরী ও তার পরিবার। তবে ধর্ষক পলাতক থাকার কারণে এবং এলাকার প্রভাবশালীদের চাপের মুখে স্ত্রীর স্বীকৃতি ও সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের বিচার পাচ্ছে না অসহায় ওই কিশোরী।
[৪] বিয়ে করবে বলে প্রলোভন দিয়ে এ ধর্ষণের কথা কাউকে কিছু না বলার জন্য চাপ প্রয়োগ করে পার্থ। ধর্ষণের স্বীকার কিশোরীর এক বান্ধবীর সহায়তায় তারা বিয়ে করে সংসার করবে বলে আশ্বস্ত করে ঢাকায় যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন পার্থ। তার কথামতো ২০১৯ সালে ১৩ অক্টোবর ঢাকা গিয়ে এক বান্ধবীর বাসায় ওঠেন কিশোরী।
[৫] কিছুদিন ঢাকায় থাকার পর সাময়িক অসুস্থ হয়ে পরে কিশোরী। আশ্রয় দেয়া বান্ধবীর সহায়তায় শারীরিক উন্নতির জন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে জানা যায় কিশোরী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এমন খবর পেয়ে লোক লজ্জার ভয়ে পরিবারের কাউকে কিছু না বলে ধর্ষক পার্থ সরকারকে দ্রুত ঢাকায় আসতে বলে এবং বিয়ের জন্য চাপ দেয় মেয়েটি।
[৬] কিশোরী অন্তঃসত্ত্বার খবর পেয়ে ধর্ষক পার্থ সরকার ৩০ নভেম্বর ঢাকায় আসবে বলে এলাকা থেকে পালিয়ে যায় এবং কিশোরীর সাথে ফোনে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি মার্মান্তিক মনে করে বান্ধবী অঞ্জলী সব কিছুই কিশোরীর বাবা-মাকে জানালে তারা পার্থ’র পরিবারের সকলকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। পার্থের পরিবার সব কিছুই অস্বীকার করে এবং স্থানীয় প্রভাবশালী ইউপি মেম্বারের সহায়তায় কিশোরীকে বাচ্চাসহ প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। সম্পাদনা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :