নূর মোহাম্মদ : [২] করোনার কারনে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ভার্চুয়াল কোর্ট চালু করেছে সরকার। তবে কারাগারে থাকা হাজতিদের জন্য সুযোগ থাকলেও অাগাম জামিনের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। হাইকোর্ট বা নিম্ন অাদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের সুযোগ না থাকায় করোনার মধ্যেও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অনেক আসামি।
[৩] অনেকে মিথ্যা মামলায় আসামি হয়েও পুলিশি হয়রানির ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আবার অনেকে পুলিশকে ম্যানেজ করে থাকছেন এমন অভিযোগও উঠছে। তবে রিমান্ডের পর দেওয়ানী আদালতে মামলা করার সুযোগ দেয়ায় এবার আগাম জামিনের বিষয়ে নির্দেশনা চান আইনজীবীরা।
[৪] সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম বলেন, ভার্চুয়াল কোর্টে আগাম জামিন আসতে কোন সমস্যা নেই। অবশ্যই আসা উচিৎ। মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। সেটা খর্ব করা যাবেনা।
[৫] তিনি বলেন, হাইকোর্টের নিয়মিত রিট ও ক্রিমিনাল বেঞ্চগুলো ভার্চুয়ালি চলতে পারে। অনেকে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে রিট করতে চাইলেও তা পারছেনা। তাই আরো বেঞ্চ গঠনের দিকে জোর দেন এই অাইনজীবী।
[৬] সুপ্রিম কোর্টের অাইনজীবী সগীর হোসেন লিয়ন বলেন, আগাম এবং আত্মসমর্পন করে জামিনের ব্যবস্থা থাকা উচিৎ। এটি না থাকায় বর্তমানে পুলিশ বাণিজ্য করছে। এছাড়া ভারতের উদাহারণ টেনে আপিল বিভাগও ভার্চুয়ালি চালু করার দাবি জানান তিনি।
[৭] ফরিদপুর জজকোর্টের আইনজীবী মোসাদ্দেক আহমদ বশির বলেন, ন্যায় বিচার পাওয়া প্রত্যেকের অধিকার। আদালতে রিমান্ড শুনানি হলে আত্মসমর্পণ বা আগাম জামিন বিষয়ে শুনানি হতে অসুবিধা কোথায়? স্বাস্থ্য বিধি মেনে অতি দ্রুত আসামির আত্মসমর্পণ ও আগাম জামিন বিষয়ে শুনানির বিধান করে প্রজ্ঞাপন জারির দাবি করেন তিনি।
[৮] ঢাকা জজ কোর্টের অাইনজীবী খাদেমুল ইসলাম বলেন, আগাম জামিন বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। এটি সাংবিধানিক অধিকার। তাই দ্রুত অাত্মসমর্পন করে ও অাগাম জামিনের বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা চান এই আইনজীবী।
আপনার মতামত লিখুন :