সুব্রত বোস : অর্থনীতির টানাপড়েন স্পষ্টতর পরিষ্কার হবে, অর্থনীতি ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে আছে, দাঁড়াবেÑ ঠিক এই মুহূর্তে তা পরিষ্কারভাবে জানা যায় না। দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর দুশ্চিন্তার কারণ আছে। কারণ এখন আত্মনির্ভরশীলতা উৎপাদনশীলতা, কুশলতা বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করা বিবেচনাপ্রসূত বাংলাদেশের জন্য। সময়কালীন ঘোর বিপদ আসতে পারে, কারণ কভিড -১৯, অর্থশাস্ত্রে প্রণোদনার গুরুত্ব অপরিসীম, কোভিড -১৯ হওয়ার কারণে, সরকার প্রদত্ত প্রণোদনা জরুরি, কোভিড-১৯ গুরুত্ব বিবেচনায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপরিসীম। আত্মনির্ভরশীলতা গালভরা শব্দ, কার্যক্ষেত্রে দেখতে হবে, কেন বাংলাদেশ বহু পণ্য উৎপাদনই করতে পারে না, কেন অধিকাংশ ক্ষেত্রে উৎপাদন ব্যয় বেশি হয়।
বাংলাদেশ বিভিন্ন পণ্য জন্য ভারত বা চিনের উপর নির্ভর করে কেন। অর্থনীতি, বাণিজ্যনীতি,উৎপাদন বস্তুটি রাজনীতি না,অর্থনীতি,বাণিজ্যনীতি,উৎপাদন চাকা হুঙ্কারে গড়ায় না, অধিকাংশ পণ্য ক্ষেত্রে ভারত চিনের নির্ভরশীলতা কমাইয়া আনা জরুরি, বাংলাদেশের মানুষ যখন দুর্নীতি ধ্বংস করবে দেশপ্রেমের বটিকা সেবন করবে,স্বাভাবিক প্রত্যাশা অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা করবে, তখন পরিবর্তন আসবে।
আর কবে প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রিমহোদয় দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ সমাধান পদ্ধতি ভাববে, দেশাত্মবোধক হুঙ্কারে সমাধান পদ্ধতি বেরুবে, বাংলাদেশের উচিত পরিকাঠামোর উন্নয়ন, বিনিয়োগের পথ সুগম করা, সরকারি দীর্ঘসূত্রতা কমাইয়া আনা ইত্যাদির কথা ভাবা জরুরি। অর্থনীতি বস্তুটি যে রাজনীতি নহে, শুধুমাত্র স্লোগান, বিজ্ঞাপন বা দেশাত্মবোধক হুঙ্কারে যে তার চাকা গড়ায় না, এই কথাটি কর্তারা যত দ্রুত স্বীকার করেন, তত মঙ্গল দেশের, দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ গভীর দুশ্চিন্তার কারণ স্বদেশি পণ্যের প্রকৃত প্রস্তাবে স্বদেশি জাগরণ, বা বৃহত্তর অর্থে অবস্থান, বিদেশি পণ্যের নির্ভরশীলতা কমানো, উদার অর্থনীতির দর্শনের বিরোধ প্রত্যক্ষ,উদার অর্থনীতির আহ্বান, অন্য দিকে অর্থনৈতিক অবস্থান— যত দিন যাই সরকারের বাণিজ্য নীতিতে টানাপড়েন তত স্পষ্টতর, না হয়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :