মাসুদ রানা: বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ভাইরাসের মরণথাবা মধ্যবিত্ত শ্রেণিবৃত্তের পরিধি ভেদ করে ঢুকে পড়েছে। ব্যাপক সংক্রমণ ও ঘনঘন মৃত্যু সংবাদ আসছে।মধ্যবিত্ত শ্রেণির যোগাযোগ ক্ষমতা বেশি বিধায় আতঙ্ক বিস্তার লাভ করছে। কিন্তু এই আতঙ্ক শাসকচক্রের কাছে কোনো আবেদন তৈরি করতে পেরেছে বা পারছে বলে মনে হচ্ছে না। শাসকচক্র মধ্যবিত্ত শ্রেণির কথা শোনে না। বাংলাদেশের শাসকচক্র প্রথম কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে আস্ফালন করছে তাদের নেতৃত্বের ক্ষমতার ভীতিপ্রদর্শন করে। বস্তুত কোনো কাজতো হয়ইনি, বরং ক্ষমতা-কেন্দ্রের খুব নিকটবর্তীদের কেউ-কেউ এই বিশ^মহামারীর কাছে খোদ পরাস্ত হয়েছেন। এখন মনে হচ্ছে শাসকচক্র ‘যা হবার হবে’ প্রকারের একটি নির্বিকার ভাব ধারণ করে সবকিছু ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু এতে কি শেষরক্ষা হবে? ভাগ্য যদি প্রসন্ন না হয়, মানুষ ভাগ্যদাতাকে পরিত্যাগ করে নিজের ভাগ্য নিজের গড়ার চেষ্টা করে। বাংলাদেশ সম্ভবত সে-দিকে এগোচ্ছে।
ভারতীয় বলতে কোনো অভিন্ন জাতি নেই। দিল্লির দখলে থাকা বাংলার পশ্চিমখণ্ডের বাঙালিকে বুঝতে হবে যে, ভারতীয় বলে কোনো জাতি নেই। জাতি আছে বাঙালি, পাঞ্জাবি, গুজরাতী, তামিল, মারাঠী ইত্যাদি। মুঘলদের তৈরি করা স্টেইটক্রাফট ইংরেজরা দখল করে যে শাসন করেছে, তার স্মৃতি জাতিতত্বের ভিত্তি হতে পারে না। তাই, সাম্রাজ্য-উত্তর জাতি-ভিত্তিক সার্বভৌমত্বের যুগে হিন্দুত্বের ব্যবহার ছাড়া মুঘল-রাষ্ট্রের অবশেষ ধরে রাখা সম্ভব নয়। কিন্তু ধর্ম জাতিত্বের ভিত্তি হতে পারে না। জাতিত্বের প্রধান ভিত্তি মানুষের নৃতাত্ত্বিক ভৌত প্রকৃতি ও ভাষা-সংস্কৃতি। তাই বলি, বাঙালী জাতিপরিচয়ের ভিত্তিতেই রাষ্ট্র ও রাজনীতির কথা ভাবতে হবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :