বিপ্লব বিশ্বাস, পিরোজপুর: [২] অবশেষে পিরোজপুর স্বরূপকাঠীর চাঞ্চল্যকর আ.লীগ নেতা মামুন মিয়া হত্যা মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
[৩] গত ২৮ জুন মামুন হত্যা মামলার যাবতীয় কাগজপত্র সরুপকাঠী থানা পুলিশ পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করে। চলতি বছরের২৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলার সোহাগদলের বৌ বাজার সংলগ্ন একটি জমিতে উপড়ে পড়া গাছের সাথে মামুনের হাটুগেরা অর্ধ ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে সরুপকাঠী থানা পুলিশ।
[৪]এ ঘটনায় লাশ উদ্ধারের দিনই অজ্ঞাত নামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে নিহতের বড় ভাই মাসুম মিয়া। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান রিপন ও মোহাম্মদ আহসানুল হক আশাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
[৫] গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মামুন হত্যার বিচার দাবীতে উপজেলার দুই ব্যাবসায়ি বন্দর ইন্দেরহাট ও মিয়ারহাটের প্রায় ১কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশে কয়েক হাজার জনতার অশ্রুশিক্ত অংশগ্রহনে নাগরিক কমিটির ব্যানারে মানববন্ধন করেন স্বরূপকাঠীবাসি। এসময় সাবেক এমপি অধ্যক্ষ শাহ আলম বলেছিলেন, মামুন হত্যায় বড় বড় রাঘোবোয়ালেরা জড়িত। তিনি এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকলের বিচার দাবী জানান।
[৬] এদিকে নেছারাবাদ থানার এস আই এইচ এম ফিরোজ আল মামুনের করা সুরতহাল প্রতিবেদনে কিছু অসংগতির কথা তুলে ধরেন নিহত মামুনের পরিবার। মামুনের লাশ খালি হাতে নামানো, রশি খোলা, এমনকি ঝুলে থাকা রশির বিবরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল তার পরিবারসহ স্থাণীয় সচেতন মহল। সুরতহাল প্রতিবেদনে গলায় ফাঁস লাগাইয়া মারা গেছে মর্মে জানা যায় উল্লেখ করা হলেও ওই দিনই আবার থানায় হত্যা মামলা গ্রহণ করা হয়, সুরহাল প্রতিবেদনে গলায় ফাঁস লাগাইয়া মারা গেছে বলে জানা যায় এ মর্মে স্বাক্ষী দিয়ে আবার মৃত্যু সনদে মৃত্যুর কারণ হত্যা লিখে সনদ দেয়।
[৭] অবশেষে গত ২৮ জুন সরুপকাঠী থানা মামলাটির তদন্তভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবাআই)কে হস্তান্তর করার পর পিবিআই এ মামলা সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র ও জব্দকৃত আলামত গ্রহন করে। গতকাল ১ জুলাই আনুষ্ঠানিক ভাবে মামলাটি তদন্ত শুরু করে পিবিআই।
আপনার মতামত লিখুন :