রায়হান রাজীব : [২] বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ‘নিপীড়নমূলক’ আখ্যা দিয়ে নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, বিভিন্ন ধরনের কর্মী, সাংবাদিক এবং সরকারের অন্য সমালোচকদের হয়রানির পাশাপাশি দীর্ঘদিন আটকে রাখতে আইনটি ব্যবহার করছেন কর্মকর্তারা।
[৩] বুধবার এইচআরডব্লিউ’র নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে এশিয়ান অঞ্চলের ডিরেক্টর ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, কোনো ব্যক্তিকে নিজেদের সমালোচনাকারী মনে হলেই বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ নির্বিচারে গ্রেপ্তার করছে। কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় সরকারের যখন বন্দীর সংখ্যা কামিয়ে আনা উচিত, তখন তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষের মন্তব্যের দিকে নজর রাখছেন।
[৪] বাংলাদেশের রিমান্ডের ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংস্থাটি বলছে, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাংলাদেশর হাইকোর্ট থেকে জারি করা নির্দেশনায় বলা আছে এমন একটি কক্ষে করতে হবে, যেটি কাঁচে ঘেরা। এ সময় অভিযুক্তের আইনজীবী এবং স্বজনদের পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেয়ার কথাও বলা আছে। কিন্তু এই নির্দেশনা অনুসরণ করার ঘটনা বিরল। কখনো হয়তো হয়নি।
[৫] এইচআরডব্লিউ’র দাবি, ‘বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রযুক্তি মাধ্যমের জন্য করা হলেও এর মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ বক্তব্যকেও এখন অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
[৬] এই মহামারীর সময়ে ‘মারাত্মক অপরাধ’ না করা ব্যক্তিদের জেল থেকে মুক্তি দেয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে, কোভিড-১৯ নিয়ে সমালোচনা করা ব্যক্তিদের না খুঁজে কাজলের মতো যেসব ব্যক্তি অন্যের বিপদের কারণ হননি, তাদের বাংলাদেশ সরকারের মুক্তি দেয়া উচিত।’
আপনার মতামত লিখুন :