ইসমাঈল ইমু : [২] বিশেষ করে নিষিদ্ধঘোষিত হিযবুত তাহরীর ও আনসার আল ইসলাম অনলাইনে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় রয়েছে। এছাড়া মাঝেমধ্যে আল-কায়েদা ইন সাবকনটিনেন্ট (একিউআইএস) নামের জঙ্গি সংগঠনটি অনলাইনে বিবৃতি দিয়ে তাদের উপস্থিতি জানান দেয়।
[৩] পুলিশ কর্মকর্তরা বলছেন, বৈশ্বিক মহামারি কোভিডের সুযোগ নিয়ে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে জঙ্গিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অনলাইনের বিভিন্ন চ্যানেলে প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে সদস্য সংগ্রহের পর বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে হামলার প্রশিক্ষণ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
[৪] আগে ফিজিক্যালি বিভিন্ন দুর্গম এলাকা যেমন চর ও পার্বত্য এলাকায় প্রশিক্ষণ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করলেও এখন তারা ডিজিটাল প্রশিক্ষণের আয়োজন করছে। সেখানে হামলা থেকে শুরু করে আত্মরক্ষার নানা কৌশল শেখানো হচ্ছে। আবার হিযবুত তাহরীর তাদের অবস্থান জানান দিতে মাঝেমধ্যেই লিফলেট প্রচার করছে। সম্প্রতি লিফলেটসহ বেশ কয়েক জন হিযবুত তাহরীর সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে।
[৫] ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর দেশে জঙ্গি ও জঙ্গিবাদ বিস্তারের পথ অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে। ঐ হত্যাকাণ্ডের পরপরই দেশে জঙ্গি ও জঙ্গিবাদ বিরোধী মনোভাব তৈরি হয়েছে নাগরিকদের মধ্যে। যার কারণে দেশে জঙ্গিদের মতাদর্শ প্রচারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। হলি আর্টিজানে হামলার পর দেশের অভ্যন্তরে তাদের কোনো সাংগঠনিক ভিত্তি গড়ে তুলতে পারেনি। এজন্য কোনো কোনো জঙ্গি নেতা তার অনুসারীকে ‘লোন উলফ’ হামলার নির্দেশনা দিচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :