শিমুল মাহমুদ : [২] এই অপপ্রচারের পর আরও অনেক খবর ও মন্তব্য বিশ্লেষন হচ্ছে। কোন ক্ষেত্রে অসম্পূর্ন ও অজ্ঞতা বশত এবং কোন ক্ষেত্রে উদ্দেশমূলক এমনকি ষড়যন্ত্রমূলক।
[৩] ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড চিকিৎসায় নিয়োজিত ২২৭৬ জন চিকিৎসাকর্মীর জন্য মাসে ভ্যাটবিহীন খরচ ১২,৩৩,৩০,১২০ টাকা। হোটেলে থাকা-খাওয়া বাবদ ১১,৮৬,৩১,২৫০ টাকা। যাতায়াত বাবদ ৪৬, ৯৮,৮৭০ টাকা।
[৪] বুধবার সংবাদ সম্মেলনে ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, বরাদ্দকৃত ২০ কোটি টাকা থেকে অদ্যাবধি কোন হোটেল কতৃপক্ষ উপস্থাপিত কোন বিল পরিশোধ করা হয় নাই।
[৫] সংবাদ সম্মেলনে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বিল্লাল আলম বলেন, সংবাদমাধ্যমে চিকিৎসকেরা এক মাসে ২০ কোটি টাকার খাবার খেয়েছেন এই প্রচারে তারা হতোদ্যম হয়ে পড়েছেন। স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি হয়, তার সঙ্গে চিকিৎসকরা যুক্ত নন। তারাও চান এসব দুর্নীতির তদন্ত হোক, প্রতিকার হোক।
[৬] দুই মাস হোটেলে থাকা, খাওয়া ও পরিবহনের খরচ ২৬ কোটি টাকা হওয়ার কথা। এরআগে এক মাসের খরচ হিসাব করে দুই মাসের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে এই বরাদ্দ দেওয়া হয়।
[৭] এ কে এম নাসির উদ্দিন জানান, যাতায়তের জন্য ১০টি ১২ সীটের ও একটি ১৫ সীটের এসি মাইক্রোবাস ভাড়া করা হয়। এছাড়া, একটি ২৬ সীটের ট’্যরিস্ট কোচ, দুটি ৪৫ সীটের নন এসি বাস ভাড়া করা হয়। থাকা খাওয়া সুবিধার্থে পদাধিকার বলে হোটেল সালিমার ইন্টারন্যাশনাল, গ্রীন ইন্টারন্যাশনাল, ঢাকা সাফারী, দি ক্যাপিটল লিমিটেড এর মতো ৩০ টি হোটেল বুকিং করা হয়। আবাসন খরচ ৬০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে। এখানে অনেক হোটেলেই থাকার বিলের সঙ্গে খাওয়ার বিল যুক্ত নয়।
[৮] পরিচালক জানান, দেশে লকডাউন চলাকালীন গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ৪টি বিআরটিসি বাস ভাড়া করা হয়েছিলো। এছাড়া, রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতালে হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
[৯] ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক আহমেদুল কবির বলেন, তারা কোভিড রোগীদের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যতোই সমালোচনায় হোক, আমরা কাজ করে যাবো। আমরা করোনারোগীরদের কাছে দায়বদ্ধ। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :