সমীরণ রায় : [২] বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম এক বিবৃতিতে আরও বলেন, বছরে একাধিকবার বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম পরিবর্তনের সুযোগ রেখে ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) বিল-২০২০’ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। সংশোধনীতে কোনো অর্থবছরে একবার বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্য পরিবর্তনের (মূলত বৃদ্ধির) বিধিনিষেধ তুলে দিয়ে বছরে একাধিকবার দাম পরিবর্তনের সুযোগ রাখা হয়েছে। নতুন এই আইন পাস করে কার্যকর করতে পারলে বিইআরসি বছরে যতবার খুশি ততবার বিদ্যুৎ-গ্যাস, ডিজেল, পেট্রোলসহ জ্বালানির দাম বাড়াতে পারবে। এই বিল জাতীয় দুর্যোগের মধ্যে আরেক দুর্যোগ হয়ে সাধারণ জনগণের কাঁধে আসছে।
[৩] তারা বলেন, দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা বলে দরদামসহ দেশের স্বার্থ, পরিবেশ এসব যাচাই-বাছাই ছাড়াই বহুল আলোচিত কুইক রেন্টাল ও পরিবেশ ধ্বংসকারী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। চাহিদা না থাকলেও এই ধারায় এখনও বাড়তি খরচে নতুন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার চুক্তি করে চলেছে সরকার। রাষ্ট্রীয় খাতকে পঙ্গু করে বেসরকারি খাতকে প্রাধান্য দেওয়ায় এই খাত আজ গুটিকয়েক ব্যবসায়ীদের দখলে।
[৪] তারা আরও বলেন, সরকারের ভুলনীতি আর দুর্নীতির ফলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত গলায় কাঁটার মতো বিঁধে আছে। এর দায় সরকারের, জনগণের নয়। বিইআরসি’র গণশুনানিতে দেশপ্রেমিক বিশেষজ্ঞ ও আমরা প্রমাণ করেছি- বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নয়, কমানো সম্ভব। এই বিল উত্থাপনের মধ্য দিয়ে সরকার তার গণবিরোধী চেহারা তুলে ধরল।
[৫] মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব