সমীরণ রায় : [২] মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক ডা. এম এ সামাদ বলেন, জাতীয় সংসদে পাস হওয়া শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের স্বার্থবিরোধী ও ধনীক শ্রেণির স্বার্থে গতানুগতিক এই বাজেট মেনে নেওয়া যায় না।
[৩] তিনি বলেন, আমরা চেয়েছিলাম মধ্যবিত্ত, মেহনতি গরিব মানুষকে বাঁচানো, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি ও কর্মসংস্থানকে প্রাধান্য দিয়ে সরকার বাজেট প্রণয়ন করবে। কিন্তু সরকার তার বিপরীতটা করছে। খেলাপি ঋণ আদায়, অপ্রদর্শিত কালো টাকা আদায়, বিদেশে পাচার করা টাকা ফেরত আনা ও বাজেটের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে বিলাসিতা প্রত্যাহার, করোনা বিপর্যয়কালে মেগা প্রজেক্ট পরিহার, সরকারি ক্রয়-হ্রাস ও দুর্নীতি বন্ধের আশা করলেও তা প্রতিফলন হয়নি।
[৪] তিনি আরও বলেন, করোনাকালে রাজস্ব ব্যয় কমিয়ে স্বাস্থ্যখাতে এক তৃতীয়াংশ খরচ করতে হবে। আমরা চেয়েছিলাম স্বাস্থ্যখাতে বাজেটের ১৫ শতাংশ বরাদ্দ ও স্থায়ীভাবে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের জন্য স্থায়ী রেশনিং ব্যবস্থা। সরকার জনগণের আকাঙ্খাকে পদদলিত করে ধনীক ও লুটেরা শ্রেণির স্বার্থে গতানুগতিক আমলা নির্ভর বাজেট দিয়েছেন। এবারের বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা যা জিডিপির ৬ শতাংশ।
[৫] এতে আরও উপস্থিত ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য সামছুল হক সরকার, দপ্তর সম্পাদক বিধান দাশ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. সামছুল আলমসহ অনেকে। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :